মনজু  চৌধুরী:  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের হাইল হাওড়ে জমিতে ধান কাটতে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার ৩ মে সকল সাড়ে আটটায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নরে হাইল হাওড় এলাকায় আওয়াল মিয়া (৫৫) এর নিজের ফিসারি আছে। ফিসারি এলাকায় শাহরিয়ার নামের এক লন্ডন প্রবাসীর জমিতে কালিরগাঁওর রুহুল আমিন বর্গাচাষ করেন। জমিতে ধান ভাল না হওয়ায় রুহুল আমিনের নির্দেশে জাকান্দি গ্রামের আওয়াল মিয়া (৫৫) ও তার ছেলে মোঃ কাউছার মিয়া (২৫) সকালে জমিতে ধান কাটতে গেলে জাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে হাইল হাওড়ে বসবাসকারী মকু মিয়া ও তার দুই ছেলে রহিম মিয়া, করিম মিয়া এবং সালামত মিয়ার ছেলে রহমত মিয়ারা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ কাউছার মিয়া গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আজ (৩ মে) বুধবার বিকেলে আহত আওয়াল মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা এখন তদন্তাধিন রয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

জানা যায়, হাইল হাওড় এলাকায় আওয়াল মিয়ার নিজস্ব ফিসারি রয়েছে। ফিসারির সুবাধে তারা নিয়মিত সেখানে যাতাযাত করেন। ফিসারিতে মাছ চাষ করায় আওয়াল মিয়ার পরিবারের কেউ না কেউ ফিসারিতে রাত্রিযাপনও করেন। ফিসারি সংলগ্ন শাহরিয়ার নামের এক লন্ডন প্রবাসীর জমিতে কালিরগাঁওর রুহুল আমিন বর্গাচাষ করেন। জমিতে ধান ভাল না হওয়ায় রুহুল আমিনের নির্দেশে জাকান্দি গ্রামের আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ কাউছার মিয়া সকালে জমিতে ধান কাটতে গেলে জাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে হাইল হাওড়ে বসবাসকারী মকু মিয়া ও তার দুই ছেলে রহিম মিয়া, করিম মিয়া এবং সালামত মিয়ার ছেলে রহমত মিয়া হাতে ধারালো দা ও লোহার রড নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে ধান কাটতে বাধা দেয়। আওয়াল মিয়া বাধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে মকু মিয়া গংরা উত্তেজিত হয়ে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ কাউছার মিয়াকে অতর্কিত চর, থাপ্পর, কিল, ঘুষি মারতে শুরু করে। রহিম মিয়া তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে মোঃ কাউছার আহমদকে প্রাণেহত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপ মারে এবং করিম মিয়া তার হাতে থাকা রড দিয়ে আঘাত করে কাউছারের ডান হাত ভেঙ্গে ফেলে। আওয়াল মিয়া ছেলের প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে মকু মিয়া তার হাতে থাকা দা দিয়ে আওয়াল মিয়াকে কুপিয়ে মাথায় গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। রহমত মিয়া এসব অতর্কিত হামলার ফাঁকে কাউছারের পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ভিভো মোবাইলটি চুরি করে নিয়ে যায়। আওয়াল মিয়া ও কাউছারের চিৎকার চেচামেচিতে আশপাশের লোকজন এসে হামলাকারীর কবল থেকে তাদেরকে রক্ষা করেন।

খবর পেয়ে আওয়াল মিয়ার স্ত্রী জোৎস্না বেগম ও ছোট ছেলে আহবাব মিয়া ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আওয়াল মিয়া ও কাউছারকে দ্রুত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হামলাকারীরা উক্ত ঘটনার বিষয়ে মামলা মোকাদ্দমা কিংবা বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে। গুরুতর আহত আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ কাউছার মিয়া আশষ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *