Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়াল সিলেট ডেস্ক ::আইনপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতে ওয়াশিংটন ডিসি’র একটি প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ করেছেন । ওই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার ৬ মাসের চুক্তি হয়েছে। বিনিময়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে দুই লাখ ডলার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নেত্রনিউজ। এতে বলা হয়, লবিস্ট হিসেবে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটির নাম স্ট্রিক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসি (এসজিডি)। আগে এর নাম ছিল সোনোর্যান পলিসি গ্রুপ।
শেখ হাসিনা ৫ই আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এই উদ্যোগ নিয়েছেন জয়। নেত্রনিউজ লিখেছে, তাদের হাতে যেসব ডকুমেন্ট গেছে তারা তা যাচাই বাছাই করেছে। তাতে দেখা গেছে দুই লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৪ কোটি টাকার বিনিময়ে এই চুক্তি হয়েছে। লবিস্ট প্রতিষ্ঠান এর বিনিময়ে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি মার্কিন সরকারের নির্বাহী এবং লেজিসলেটিভ শাখার কাছে তুলে ধরবে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের মালিকানাধীন কোম্পানি ওয়াজেদ কনসাল্টিং ইনকরপোরেশনের মাধ্যমে ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের অধীনে এই চুক্তি হয়েছে। লবিস্ট ফার্মটির নেতৃত্বে আছেন ক্রিশ্চিয়ান বোরগে এবং রবার্ট স্ট্রিক। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
প্রতিষ্ঠানটির ওই দু’জন কর্তাব্যক্তি ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের উপদেষ্টা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়মের ইতিহাস অনুসরণ করে এসজিডিকে ভাড়া করেছেন জয়। আওয়ামী লীগের পক্ষে লবিং করার জন্য ২০০৫ সালে অ্যালকালডে অ্যান্ড ফে- নামের প্রতিষ্ঠানকে তিনি ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছেন। ওই সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রিপাবলিকান গ্যারি আকারম্যান। তিনি পরিস্থিতিকে জেনারেল পারভেজ মোশারফের অধীনে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। সতর্ক করেছিলেন যে, মূলধারার দলগুলো দুর্বল হলে তাতে ইসলামপন্থি শক্তি শক্তিধর হয়ে উঠতে পারে। এবার তার মায়ের ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময়ে দলটির বেশির ভাগ নেতা আত্মগোপন করেছেন অথবা জেলে রয়েছেন।
