ডায়ালসিলেট::পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের কম্পিউটার ডেটা অপারেটর লাকি রানী পালের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী হিমাদ্রি পাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেটের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!জানা যায়, গত ৯ আগস্ট লাকি রানী পাল অফিস থেকে বাড়ি ফিরে প্রতিদিনের মতো রাতের রান্না করছিলেন। এ সময় তার গায়ে আগুন লাগে। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সেনগ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। মৃতের স্বামী হিমাদ্রি পাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁদের দেড় বছরের একটি ছেলেসন্তানও রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনাকে রান্না করতে গিয়ে কুপির আগুনে দগ্ধ বলে প্রচার করলেও ১৭ আগস্ট লাকির ছোট বোন প্রিয়াঙ্কা পাল বাদী হয়ে সিলেটের মোগলাবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় লাকির স্বামী হিমাদ্রি পাল, দেবর হিমেল পাল, শ্বশুর হলধর চন্দ্র পাল ও শাশুড়ি শিখা রানী পালকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, স্বামী হিমাদ্রি পাল বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে লাকিকে বলেছিলেন। এই টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ৯ আগস্ট রাতে রান্নাঘরে নিয়ে লাকির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। পরে কুপি বাতি থেকে আগুন লেগে দগ্ধ হয়েছেন বলে প্রচার করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার শর্তে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন হিমাদ্রি পাল। ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা ছিল। বুধবার বেলা দুইটার দিকে আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
এ বিষয়ে মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সমীরণ সিংহ বলেন, ‘মামলার পর থেকে মৃতের স্বামী হিমাদ্রি পাল এলাকাছাড়া ছিলেন। পরে তিনিসহ সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছিলেন বলে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। এবার হিমাদ্রি পাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। মামলার অন্য আসামিদের বিষয়ে খোঁজ চলছে।’

