বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার। বৈঠক শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? তা জানতে চেয়েছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিকেল ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের া, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

উন্নয়ন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে কথা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে। এসব ব্যাপারে তারা অবগত আছে। বাংলাদেশের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে জার্মানিও তার একটি অংশ। মানবাধিকার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, আমেরিকা বলছে, ব্রিটেনেও বলছে।

আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন বাদে তো কোনো আলোচনা হতে পারে না। কারণ আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে জার্মানি জানতে চেয়েছে, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? সকলের চোখ বাংলাদেশের দিকে। আগামী নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? তারা (জার্মানি) চোখ রাখছে। তারাও দেখতে চাচ্ছে আগামী দিনে বাংলাদেশের নির্বাচন কোথায় যায়? সেটাতে তারা চোখ রাখছে। তারাও পর্যবেক্ষণ করছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির বিষয়ে সবাই অবগত আছেন। এখানে অবগত করার কিছু নেই। এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা সবারই জানা আছে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না, না। এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ তো বিএনপির নিজস্ব ব্যাপার।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাষ্ট্রদূত নিয়েছেন বলেও জানান আমীর খসরু। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও জার্মান দূতাবাসের উপপ্রধান উপস্থিত ছিলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *