Category: সিলেট

  • বৃহত্তর জৈন্তিয়ার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগরে দাবিতে  মানববন্ধন ৩১ জুলাই

    বৃহত্তর জৈন্তিয়ার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগরে দাবিতে মানববন্ধন ৩১ জুলাই

    ডায়েল সিলেট ডেস্ক:

     

     

    বৃহত্তর জৈন্তিয়ার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান সহ ১০দফা দাবিতে  বৃহত্তর জৈন্তিয়ার উন্নয়ন পরষিদরে উদ্যোগে আলোচনা সভা গত বৃহস্পতবিার নগরীর  একটি অভিজাত হোটলেরে সম্মলেন কক্ষে অনুষ্টিত হয়ছে।
    বৃহত্তর জৈন্তিয়ার উন্নয়ন পরষিদরে আহবায়ক এডভোকটে আব্দুল আহাদরে সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব গোলজার আহমদ হেলালের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখনে যুগ্ম আহবায়ক এবং সিলেট   প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র  সহ-সভাপতি, কানাইঘাটপ্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক সিলেটবানীর  নির্বাহী সম্পাদক  এম এ হান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা হোসাইন আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক ফয়জে আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক আসাদুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম সচিব এডভোকটে কবির আহমদ, যুগ্ম সচিব মহউিদ্দনি জাকারয়িা, যুগ্ম সচিব শরীফ উদ্দনি, র্অথ সচিব আব্দুর রহমান আল মিসবাহ, দুবাই প্রবাসী ফখরুল আবদেীন, এডভোকটে মামুন রশীদ, হামিদুর রহমান খান খসরু, তাওহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফজলে এলাহী, কানাইঘাট থানা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ফাহিম আহমদ, মিসবাহুল ইসলাম চৌধুরী, মিকজানুর রহমান, সুলাইমান রহমান, ইসমাইল মিছবাহ, মোহাম্মদ আবুল কালাম প্রমুখ।

    সভায় বক্তারা বলনে, বৃহত্তর জৈন্তিয়ার প্রাকৃতকি সম্পদ ব্যবহার করে সারাদশেরে উন্নয়ন হচ্ছ। অথচ এই জৈন্তিয়ার মানুষ চরমভাবে বৈষম্যর শিকার হয়ে র্দীঘদনি ধরে অবহেলিত রয়ছে। এখানকার গ্যাস নিয়ে  সারাদশেরে চহিদা পূরণ করা হলওে জৈন্তিয়ার, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ  এর  মানুষ গ্যাস বঞ্চিত। এ চার উপজলোর রাস্তাঘাটরে বেহাল  অবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে না।  বৃহত্তর জন্তৈয়িার মানুষরে সাথে বৈষম্য  বন্ধ করতে হব। সভায় আগামী ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল  ৩টায় সিলেটে নগরীর র্কোটপয়ন্টেে বৃহত্তর জৈন্তিয়ার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান সহ ১০দফা দাবিতে মানববন্ধন র্কমসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

  • সুনামগঞ্জে দুই ভাইকে কুপালো দুবৃত্তরা

    সুনামগঞ্জে দুই ভাইকে কুপালো দুবৃত্তরা

    ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় চাঁদা না পেয়ে দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আহত দুই ভাই আল আমীন ও ইসমাইল পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ শহরে ট্রাফিক পয়েটস্থ শহীদ মিনার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন অনেকে। শহীদ মিনার এলাকায় ব্যবসা করতে হলে প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা ও যুবলীগকর্মী সুহেল মিয়া।

    চাঁদা দিতে অপারগত প্রকাশ করলে বৃহস্পতিবার কাপড় ব্যবসায়ী বিল্লাল আহমদকে মারধর করেন শহরের উত্তর আরফিন নগরের বাসিন্দা সুহেল ও তাঁর ভাই ফল ব্যবসায়ী রয়েল। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী বিল্লালের অপর দুই ভাই আল আমীন ও ইসমাইল ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় গেলে তাদের গতিরোধ করে যুবলীগনেতা সুহেল ও তাঁর ভাই রয়েলসহ কয়েকজন যুবক।

    এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে সুহেল ও তার লোকেরা আল-আমীন ও ইসমাইলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুই ভাইকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দুই ভাইকে আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

    এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির আইনুনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সিলেটে আবাসিক হোটেলে অভিযান, ১০ নারী-পুরুষ গ্রেফতার

    সিলেটে আবাসিক হোটেলে অভিযান, ১০ নারী-পুরুষ গ্রেফতার

     

     

     

    ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেট মহানগরীতে পৃথক দুটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

     

    শুক্রবার এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে।

     

    গত বুধবার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন আল-তকদির আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে চার নারী ও তিন পুরুষকে আটক করে ডিবি। আটকরা হলেন- নুপুর আক্তার, রুনা আক্তার, জলি খাতুন, চাম্পা বেগম, শামিম আহমেদ, সাজু মিয়া ও সুজিত দাস।

     

    অপরদিকে একই রাতে কোতোয়ালি থানাধীন ওসমানী মেডিকেল রোডের রজনীগন্ধা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করে ডিবি। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, হোটেল ম্যানেজার ও মর্জিনা আক্তার। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরেকটি মামলা হয়।

     

     

  • দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যা

     

     

     

    ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমিসংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে চাচার হাতে ২ ভাতিজি হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় গুরুতর আহত ভাবির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

     

    মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁঠালকান্দি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

     

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁঠালকান্দি গ্রামের স্ট্রোকের রোগী আবু মিয়ার সঙ্গে তারই ছোট ভাই মাসুক আলীর বিরোধ চলে আসছিল। আবু মিয়ার ৬ কন্যা সন্তান, তার কোনো ছেলেসন্তান নেই।

     

    সোমবার বিকাল ৪টায় বিরোধপূর্ণ কৃষিজমিতে আবু মিয়ার মেয়ে ও শাহিদুল ইসলামের স্ত্রী শামিমা সুলতানা সাম্মী আক্তার (২৫) ও আবু মিয়ার মেয়ে মিম সুলতানা মাসুমা (২৩) কৃষি মজুরদের নিয়ে জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় অতর্কিতভাবে তাদের ছোট চাচা মাসুক আলী (৫৫), তার ছেলে বাবু ও স্ত্রী রাহেনা দা নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি আবু মিয়ার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫) ও কন্যা শামিমা সুলতানা সাম্মী আক্তার ও মিম সুলতানা মাসুমাকে (২৩) কোপাতে থাকে। ফলে ঘটনাস্থলেই দুই ভাতিজি শামিমা সুলতানা সাম্মী ও  মিমি সুলতানা মাসুমা নিহত হন। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবু মিয়ার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে (৫৫) মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

     

    ইসলামপুর ইউনিয়নের সদস্য ফারুক আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলেই দুই বোন নিহত হয়েছে। তাদের মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

     

    কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এবিএম সাজেদুল কবির ২ বোনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাজেরা বেগমকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

     

    কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ঘাতক মাসুক আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

     

    উল্লেখ্য, গত ২৬ মে জমির বিরোধ নিয়ে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাসানীগাঁও গ্রামে স্কুলশিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

     

     

  • মৌলভীবাজারে বাড়ছে নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা

    মৌলভীবাজারে বাড়ছে নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা

     

     

     

    ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের নদ-নদী, খাল বিল ও হাওড়ে বাড়ছে পানি। জেলার চারটি প্রধান নদী মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

     

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ও মনু নদীর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

     

     

    মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, নদীতে পানি বাড়ছে। আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

     

     

    এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে।

     

     

  • নজরুল ইসলামের ভাতিজা শাহী আলম ও তার পরিবার হুমকির মুখে

    নজরুল ইসলামের ভাতিজা শাহী আলম ও তার পরিবার হুমকির মুখে

     

     

    স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জে এনসিপি( জাতীয় নাগরিক পার্টি)  নেতা ও পুলিশের হয়রানীর শিকার হয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র দিনযাপন করছেন গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ শাখার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কর্মী শাহী আলম। তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের আক্তাপাড়া গ্রামের আখলাকুল ইসলামের ছেলে।

     

    জানা যায়, গত ৩১ শে মার্চ ২০২৫ইং সোমবার গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ চত্বরে এনসিপির ছাত্রদের হামলার শিকার হন শাহী আলম। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হামলার মূল নেতৃত্ব দেন সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও এনসিপির নেতা আশরাফ।

    এবিষয়ে শাহী আলমের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললে তার পিতা আখলাকুল ইসলাম ডায়ালসিলেটকে ব‍লেন, আমার ছেলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আজ ঘর ছাড়া।

    এর আগে গত ২০২২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বরে আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন সময়ে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মো. আশরাফের নেতৃত্বে তার সহযোগীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত হয়ে আমার আপন ভাই অত্র কলেজের সাবেক বাংলা প্রভাষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এবং গুরুত্বর আহত করে । পরে স্থানীয়দের সহযোগিতা নজরুল ইসলামকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    তিনি আরো বলেন, সেই ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ দল বদল করে এখন এনসিপিতে যোগদান করে।

    আশরাফ ও তার সহযোগিদের নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ চত্বরে আমার ছেলে শাহী আলমের উপর অতর্কিত হামলা চালায় গুরুত্বর জখম করে । পরে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে আসলে এর ২দিন পর আবারো আমাদের বাড়িতে আশরাফ ও তার সহযোগীদের নিয়ে এসে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । পরে আমার ছেলে আলমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং হত্যা মামলা আসামী বানিয়ে জেলে পাঠাবে বলে হুশিয়ারী দেয়।

     

    এরপর পরদিন আমাদের বাড়িতে পুলিশ আসে আমার ছেলে আলমকে খুজ করতে। আমার ছেলে বাড়ির বাইরে থাকায় পুলিশ গ্রেফতার করতে পারি নি। এ অবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের সকলেই নিরাপত্তাহীতায় ভূগছি। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

    এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন এনসিপি কর্মী ও পুলিশের সদস্যরা নজরুল ইসলামের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সামাজিকভাবে পরিবারের সকলকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে। তাঁদের বাড়ির চারপাশে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে, যা একটি পরিকল্পিত দমননীতির অংশ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

     

    এলাকাবাসী সকলেই নিরুপায় কেউ এবিষয়ে কথা বলতে গেলে তাদেরকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে বলে ভয় দেখনো হয়।

     

    এবিষয়ে ছাতক থানার অসির সাথে কথা ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

     

    এ অবস্থায় শাহী আলম বর্তমানে বাড়ি থেকে অন্যত্র কষ্টে জীবন পার করছেন। বর্তমানে তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতা ভূগছেন।

     

     

  • সুনামগঞ্জে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গ্রেফতার

    সুনামগঞ্জে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গ্রেফতার

     

     

     

    ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জামালগঞ্জের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

     

    মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

     

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দোয়ারাবাজারের দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মৃত বশির মিয়ার ছেলে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু।

     

    দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. জাহিদুল হক জানান, মঙ্গলবার ভোরে ছাতক পৌর এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দ্রুত বিচার আইনের মামলার এজাহার নামীয় আসামি ও অপর একটি মামলার তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহভাজন আসামি হিসাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

     

    জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ,উপজেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি রিয়াছত আলীকে মঙ্গলবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতার আইনে দায়ের কৃত একটি মামলার তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানান ওসি।

     

     

  • হজরত শাহজালালের (রহ.) ওরস শুরু, মুখর মাজার প্রাঙ্গণ

    হজরত শাহজালালের (রহ.) ওরস শুরু, মুখর মাজার প্রাঙ্গণ

     

     

     

    ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ৭০৬তম ওরস মোবারক শুরু হয়েছে রোববার। গিলাফ চড়ানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী এই পবিত্র আয়োজন।

     

    ভোর থেকে শুরু হওয়া কার্যক্রমে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো ভক্ত-অনুরাগী ছুটে আসেন দরগাহ এলাকায়। মাজারের চারপাশ মুখর হয়ে ওঠে- ‘লালে লাল, বাবা শাহজালাল’ স্লোগানে।

     

    ঐতিহ্যবাহী এই ওরস উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে পড়ে আধ্যাত্মিক আবহ। ওরসকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাদা পোশাকে পুলিশ, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ বক্স। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি ছিল পুরো এলাকায়।

     

    আউলিয়াদের সরদার হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর রুহানী ফয়েজ লাভের আশায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভক্তরা আগেভাগেই ভিড় করেন মাজারের আশপাশের হোটেল-মোটেলে। কেউ কেউ বলছেন, আল্লাহর প্রিয় বান্দার উসিলায় দোয়া-দুরুদ পড়তে এসেছি।

     

    রেওয়াজ অনুযায়ী রোববার গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে শুরু হওয়া ওরস শেষ হবে আজ সোমবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে খতমে কুরআন, জিকির আসকার, আখেরি মোনাজাত ও শিরনি বিতরণ।

     

    তবে এবার ওরসে দেখা গেছে এক ভিন্নচিত্র। পূর্বের বছরগুলোর মতো মাজার এলাকায় ভক্তদের ‘আসর’ বসতে দেখা যায়নি। মাজারের পেছনের এক কোণে সীমিত আকারে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন হলেও অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে প্রশাসন ছিল কঠোর অবস্থানে। মাজারের পবিত্রতা রক্ষায় এ বছর প্রথমবারের মতো নেওয়া হয় জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ। ফলে মাজার এলাকা ছিল অনেকটা শান্ত ও সংযত।

     

  • সিলেটে চাহিদার থেকে বেশি কুরবানিযোগ্য পশু

     

     

     

    ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেটে এবার চাহিদার থেকে বেশি রয়েছে কুরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা। সিলেট বিভাগে কুরবানিযোগ্য পশু রয়েছে তিন লাখের বেশি। আর চাহিদা প্রায় পৌনে তিন লাখ।

     

     

    প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সিলেটের দায়িত্বশীলরা এমন তথ্য দিয়েছেন।সংশ্লিষ্ট অফিসের তথ্যমতে, চাহিদা অনুযায়ী এবার সিলেটে কুরবানির পশু সংকটের আশঙ্কা নেই। খামারিদের কাছেও পর্যাপ্ত পশু আছে। গৃহপালিত পশুর সংখ্যা কম নয়। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু আসে সিলেটে। ফলে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি গরু, ছাগল, ভেড়া হাটে পাওয়া যাবে।

     

     

    সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, সিলেটের অনেক প্রবাসী বড় গরু কুরবানি দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্থানীয়ভাবে এমন গরুর সংখ্যা কম থাকলেও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় আকারের অনেক গরু বরাবরের মতো এবারও সিলেটে আসবে এমন প্রত্যাশা তাদের।

     

     

    প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন খামারে কুরবানির জন্য প্রস্তুত তিন লাখ ৯ হাজার গবাদি পশু। এর মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬টি ষাঁড়, ৩২ হাজার ৩৬৮টি বলদ, ৩৭ হাজার ৩৯২টি গাভি, ৫ হাজার ৪২০টি মহিষ, ৭৭ হাজার ৬৪৬টি ছাগল, ২৪ হাজার ১৪টি ভেড়া ও ৯১৯টি অন্যান্য পশু রয়েছে।

     

     

    সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, প্রাথমিক হিসাবে সিলেট বিভাগে কুরবানির পশুর চাহিদা আছে ২ লাখ ৭১ হাজার পাঁচশ। এবার চাহিদা কিছু কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বিপরীতে খামারিদের কাছে মজুত আছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৫টি।

     

  • সাবেক মন্ত্রী এমপি মেয়রসহ ২৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

     

     

     

    ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ২৮৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

     

     

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক। তিনি জানান, মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই মোহাম্মদ খবির উদ্দিনকে।

     

     

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার শেখ শফিউর রহমান কয়েছ (১৮) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী উত্তর গ্রামের শেখ আবদুর রহমান জানির ছেলে।

     

     

    মামলায় অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

     

    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী (৬০), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার (৬৫), সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ চৌধুরী (৬৫), সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হুসাম উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫২), আওয়ামী লীগ ও বিএমএ নেতা ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল (৬৫), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহমদ আল কবির (৬৬), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন (৫০), সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলেন আহমদ (৫০), সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সেলিম উদ্দিন (৫৬), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ (৫৫), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলু (৪৫), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ (৫৮), বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর (৫৬), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিমসহ (৫৬) ২৮৫ জন।

     

    বাদীর অভিযোগ- বাদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। আসামিরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন কোটাবিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য বিগত বছরের ১৭ জুলাই রাতের বেলায় সিলেট শহরের জিন্দাবাজারে একটি গোপন বৈঠকের মাধ্যমে পরদিন পূর্ব থেকে ঘোষিত কর্মসূচি বানচাল করতে আন্দোলনকারীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র নিয়ে বিগত ১৮ জুলাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের হামলায় বাদীসহ উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি ও বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র যথাক্রমে হকিস্টিক, চাপাতি, দা, রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করতে থাকে।