মনজু বিজয় চৌধুরী: ‘আমার গায়ে লুঙ্গি-গেঞ্জি ও আমার স্ত্রীর পরনে পুরাতন একটা শাড়ি ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবে বলেছিলেন হর গোবিন্দ মল্লিক। আগুনে তার বসতঘর ও দোকান পুড়ে হয়েছেন নিঃস্ব। বাসস্থান আর আয়ের সম্বল হারিয়ে এখন দিশেহারা এ দোকানি।
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ভোর ৪টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উপজেলার পৌর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হর গোবিন্দ মল্লিকের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় হঠাৎ ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে ঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে চলে আসেন হর গোবিন্দ মল্লিক। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর দেওয়ার ১ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস আসে। এ সময়ের মধ্যে আগুনে পুরো বসতঘরসহ চায়ের দোকান জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হর গোবিন্দ মল্লিক বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী এ বাড়িতে থাকি। তিনটা মেয়ের বিয়ে হয়েছে। কোনো ছেলে নাই। স্ত্রী ও আমি এই ঘরে থাকি। আমাদের ঘরের সঙ্গে চায়ের দোকান। চা বেচে দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে। আমাদের ঘরে যা ছিল সব পুড়ে গেছে। কিছু আর বাকি রইল না।
তিনি আরও বলেন, এখন স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবো, কি খাবো, কিভাবে সংসার চালাবো! এখন কি করবো, কিছুই বুঝতে পারছি না। এ চিন্তায় এখন দিন পার করছি।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের লিডার অজিৎ কুমার সিংহ জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু যারা আমাদের ফোন দিয়ে জানিয়েছে তারা সঠিক তথ্য দিকে পারেনি। এজন্য ঠিক সময়ে পৌঁছাতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে বসতবাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে কি কারণে আগুনের সূত্রপাত সেটা আপাতত বলা সম্ভব নয়। ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *