শুক্রবার বাদ এশা দেশে বিভিন্ন মসজিদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলিম উম্মাহর রহমত-বরকত-মাগফেরাতের পবিত্র দিন রমজানুল মোবারক মাসের ১ম তারাবিহ নামাজ। দেশের সব মসজিদে তারাবিহর নামাজ পড়া হবে, তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, ২ জন হাফেজসহ সর্বমোট ১২ জন মুসল্লি সেখানে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া ইফতার মাহফিলের কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সীমিত আকারে দেশের মসজিদগুলোতে তারাবিহ চালু থাকবে।
প্রত্যেক মুসল্লি ঘর থেকে অজু করে আসবেন। অসুস্থ বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করবেন। তারাবিহতে সর্বোচ্চ ১২ জন মুসল্লি উপস্থিত থাকতে পারবেন।
রমজান মাসে মসজিদ সমুহে এশা ও তারাবিহর নামাজ আদায়ের সুযোগ থাকবে। এর সাথে ইতোপুর্বে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত মসজিদে জুমা ও জামাত বিষয়ক নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। এছাড়া রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের নামে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবেনা।
এর আগে গত মঙ্গলবার এক বিবৃবিতে ১৪টি শর্তে সুস্থদের জন্য মসজিদ উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানায় কওমি মাদরাসার শীর্ষ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া। বুধবার ওই সংস্থাটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বৈঠক করেন।
বৈঠক থেকে আলেমদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ প্রশাসনের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা ফোনে মতবিনিময় করেন। সেই আলোচনায় মক্কা-মদিনায় মসজিদুল হারামাইনের আদলে রমজানে তারাবিসহ অন্যান্য নামাজের জামাতের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানান আলেমরা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের মসজিদগুলোকে মুসল্লি সংখ্যা সীমিত করা হয়। মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের সমন্বয়ে পাঁচ ওয়াক্তের জামাতে সর্বোচ্চ পাঁচজন করে এবং জুমার জামাতে ১০ জন করে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

