ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: আবারো ফিলিস্তিনে নৃশংস বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদি গোষ্টি খুনি নেতানিয়াহুর দেশ ইসরাইল। এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘দ্য ন্যাশনাল এন্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন’। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বজুড়ে এটি পালনের ডাক দিয়েছেন তারা। খবর ওয়াফা নিউজ এজেন্সির। এসময় ‘নো ওয়ার্ক, নো ক্লাস’ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
জামায়াত আজ গাজায় উপর্যুপরি বিমান হামলা ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। হেফাজতে ইসলাম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে বাদ জোহর সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম এবং সমস্ত মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-জনতাকে একযোগে বৈশ্বিক হরতাল পালনে শামিল হতে আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, গাজা ও রাফায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে এবং কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল সাড়ে ১০টায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান নেবে। দুপুর ১২টায় প্রতিটি শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল সহকারে উপস্থিত হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে সম্মিলিত বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবে ছাত্রদল। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বিকাল ৪টায় সংহতি এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ,গত ২৪ ঘণ্টার ৪৬টি তাজা প্রাণ বোমার নিষ্প্রাণ ধাতবের আঘাতে নিমিষেই ঝরে গেছে, যার মধ্যে রয়েছেন একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও গর্ভবতী নারী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, গাজার অসম যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬৯৫ ব্যক্তির মৃত্যু ও এক লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৬১ হাজার ৭০০ ব্যক্তি মারা গেছে এবং হাজার হাজার ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব হতভাগা ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে বন্দি হিসেবে ইসরায়েলে নেওয়া হয়েছে।

