ডায়াল সিলেট ডেকস
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে স্বেচ্ছায় এ জবানবন্দি দেন রিয়াদ। একই মামলায় রিমান্ড শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রিয়াদ ও অপু নামের একজন ব্যক্তি গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে তার ও স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছে ৫০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ভীত হয়ে সিদ্দিক আবু জাফর নিজের কাছে থাকা ৫ লাখ এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা তুলে দেন।
এরপর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা আবার সেই বাসায় গিয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে এবং হুমকি দেয়। পরে ২৬ জুলাই বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে কয়েকজন পুনরায় বাসার সামনে গিয়ে অবশিষ্ট ৪০ লাখ টাকা না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
গুলশান থানায় অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে। অভিযানের সময় অপু পালিয়ে গেলেও পরে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান আদালতে রিয়াদের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান।
এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন থেকে জড়িত তিন নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারাদেশের সব ইউনিটের কার্যক্রম স্থগিত করে সংগঠনটি।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির প্রাথমিক ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

