ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ মঙ্গলবার ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে এক অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো মিত্রদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এদিন নিজের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের কর্মকর্তাদের নাম জানিয়ে বাইডেন বলেছেন, এই দলের মাধ্যমে এটাই প্রতিফলিত হতে যাচ্ছে যে ‘আমেরিকা ইজ ব্যাক’।

জানুয়ারির ২০ তারিখ দায়িত্বভার নেওয়ার পর ট্রাম্প অনুসৃত ‘একতরফা জাতীয়তাবাদ’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে সরিয়ে নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী এ রাজনীতিক।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থীতার দৌড়ে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা দুই বাম ঘরানার সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেন নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন না বলেও ধারণা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে রিপাবলিকানদের আধিপত্য ঠেকাতে ওই দুইজনের ভোট তার জন্য খুবই জরুরি।

ট্রাম্পের ৪ বছর ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যত্র যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো মিত্রদের তুমুল অস্বস্তিতে ফেলেছিল। সামরিক জোট নেটোর অন্য সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব, মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি ও সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসকদের সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছিল।

“এটা সেই দল যার মাধ্যমে প্রতীয়মান হবে যে আমেরিকা ফিরছে এবং পিছু না হটে বিশ্বকে ফের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। ফের টেবিলে প্রধান হিসেবে বসে শত্রুদের মুখোমুখি হতে এবং মিত্রদের খারিজ না করতে প্রস্তুত, প্রস্তুত নিজেদের মূল্যবোধগুলোর জন্য দৃঢ়পায়ে দাঁড়াতে,” নিজের বেছে নেওয়া কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত করে বলেছেন বারাক ওবামার ৮ বছরে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা জো বাইডেন।

নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী এ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এখন পর্যন্ত অ্যান্টনি ব্লিনকেন, জন কেরিসহ যে ক’জন কর্মকর্তা বেছে নিয়েছেন তাদের প্রায় সবাই ওবামা প্রশাসনে কোনো না কোনো দায়িত্বে ছিলেন।

চার বছর আগে ডেমোক্র্যাটরা যখন হোয়াইট হাউসে ছিল, সে তুলনায় দুনিয়া এখন অনেকখানিই বদলে গেছে। বিশ্বজুড়ে চীনের ব্যাপক উত্থান ঘটেছে, রাশিয়াও তার হিস্যা বুঝে নিতে প্রস্তুত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সংস্থা থেকে সরে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবও যেন একটু একটু করে কমছে। দেশের ভেতরকার নানান সহিংসতা ও জটিলতা যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক কর্তৃত্বেও দাগ ফেলে দিয়েছে।

মেয়াদের শেষ বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চীনের বিবাদও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশ এ বছর করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণ, হংকং, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে একের পর এক কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছে।

বাইডেনের নতুন প্রশাসনকে তাই ট্রাম্পের রেখে যাওয়া অনেক ক্ষত মেরামতের দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে বলে ভাষ্য পর্যবেক্ষকদের।

এথন পর্যন্ত নাম ঘোষণা করা না হলেও বাইডেনের নতুন প্রশাসনে অর্থমন্ত্রী হিসেবে জ্যানেট ইয়েলেনই আসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। ইয়েলেন ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের শীর্ষ পদে ছিলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *