ডায়ালসিলেট ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমেরিকার নির্বাচন ব্যবস্থা দেখে বর্তমান সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শিক্ষা নেওয়া উচিত। তারা সম্পূর্ণ চাপের মধ্যে থেকেও পুরোপুরি অবিচল ছিলো।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তিনি বলেন, জনগণের যে রায় সেটাই গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে। প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং জনগণের কল্যাণমুখী একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন আর এই নির্বাচন কমিশন যদি শক্তিশালী না হয়, তারা যদি সরকারের প্রভাবমুক্ত না হয় তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সাহেবের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেখানে স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি সার্চ কমিটি করা হবে এবং সেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত হবে। তারা আমাদের কোন প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করেননি। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ন নিজের মনের মত তৈরি করা। ফলে আজকে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, উপ নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন সব জায়গায় তারা সম্পূর্ণ দখলদারিত্ব তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, জনগন ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে। এটাই গণতন্ত্রের মূল ফাউন্ডেশন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখন মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে যান। মোট কথা যারা প্রতিনিধিত্ব মূলক একটি রাষ্ট্র তৈরী করে সেই জায়গাটাতে ধস নেমে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও আমরা দীর্ঘ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েও সেটা করেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আবারোও তারা আমাদের সাথে সংলাপ করেছিলো। কিন্তু সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা অর্থাৎ আমাদের কোনো দাবি তারা রাখেনি।৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তারা ২৯ ডিসেম্বর রাতে অর্থাৎ আগের রাতেই ভোট কারচুপির মাধ্যমে নিজেদের পক্ষে নির্বাচন নিয়ে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, ১৯৯০ সালেও সংগ্রাম করেছি। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।

