ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, সিলেট শহরের রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে এবং চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পরও রহস্যজনক কারনে হত্যাকাণ্ডের মুল হুতা সহ অধিকাংশ অভিযুক্তই এখন পর্যন্ত গায়ে হাওয়া লেগে বেড়াচ্ছে। সরকারের ছত্রছায়ায় এসব খুনিদের শেল্টার দেয়া হচ্ছে। অভিলম্বে কামালের সকল খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি এই আলোচিত মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতে হস্তান্তরের মাধ্যমে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যতায় সিলেটবাসীকে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রোববার দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী দুই দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগনের নায্য দাবী আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করতেই সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এমন হীন রাজনীতির শিকার হয়েছেন আফম কামাল। হত্যা, নির্যাতন ও কোন ষড়যন্ত্রই দেশে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। ইনশাআল্লাহ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশে লুটপাটের রাজত্ব ও দুঃশাসনের ফলে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একাত্মতা পোষন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যরাতের সরকার লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতার মসনদকে পাকাপোক্ত করতে চায়। দেশবাসী তাদের এই দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেবে না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে দেশে সুষ্ট নির্বাচন হলে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। আর দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আফম কামাল হত্যাকাণ্ড সহ সকল গুম ও খুনের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- নিহত বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালের বড় ভাই ময়নুল হক, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, ইকবাল বাহার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, আবুল কাশেম, কামরুল হাসাব শাহীন, হাজী সাহাব উদ্দিন, মাহবুব আলম, শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান, এ কে এম তারেক কালাম, আজির উদ্দিন চেয়ারম্যান, তাজরুল ইসলাম তাজুল, কোহিনুর আহমদ, আজিজুর রহমান আজিজ, জসিম উদ্দিন, আলী আকবর, আনোয়ার হোসেন মানিক, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, ইকবাল আহমদ তফাদার, ময়নুল হক, অ্যাডভোকেট সাইদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, আহাদ চৌধুরী শামীম, আব্দুল লতিফ খান, লোকমান আহমদ, আব্দুর রহমান, বাদশা আহমদ, মকসুদ আহমদ, শাকিল মোর্শেদ, আলতাফ হোসেন সুমন, জাহেদ আাহমদ, আল মামুন, মনিরুল ইসলাম তুরন, ময়নুল ইসলাম, অর্জুন ঘোষ, সুহেল ইবনে রাজা, শাহিন আলম জয়, আকবর আলী, ফয়জুল ইসলাম পীর, শামীম আহমদ চৌধুরী, আবু আহমদ আনসারী, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, রুনু আহমদ, উসমান হারুন পনির, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম টিপু, আব্দুল করিম জোনাক, জি এম বাপ্পী, আব্দুল্লাহ সফি সাইদ, আমিনুল ইসলাম আমিন, আজিজ খান সজিব, কামরুজ্জামান দিপু, জিসবাহ জেহিন, সামাদ হোসেন, ইবনে জাহান তানভীর, চৌধুরী সুবহান আজাদ, গোলাম মোস্তফা, পলাশ আহমদ, ফাহিম আহমদ, আফজল হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, হাবিব আহমদ, শিপলু আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সিলেট জেলা বিএনপি। কর্মসূচির প্রথম দিন ১ জানুয়ারী সিলেট জেলা বিএনপি ও সকল উপজেলা এবং পৌর বিএনপির উদ্যোগে কামালের সকল খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার এবং মামলা দ্রুত বিচার আদালতে স্থানান্তরের দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হলো।

