ইউক্রেনে অভিযান শুরুর এক মাস পর রাশিয়া শুক্রবার (২৫ মার্চ) বলল, এ সামরিক অভিযানের প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে। প্রথম থেকেই ইউক্রেনের সেনাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী।

পশ্চিমারা বলছে, রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের এ বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, প্রথমে তারা অভিযানের যে পরিকল্পনা করেছিলেন তা ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেছেন, তাঁদের যুদ্ধের এখন প্রধান লক্ষ্য হবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল।
এ অঞ্চলের দুটি স্থানে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা স্বাধীনতার দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে লড়াই করে আসছে। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর দিনের ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাদের স্বাধীনতার দাবি অনুমোদন করেন।
রুশ সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে রুশ সশস্ত্র সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শুক্রবার বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে রুশ সেনাপ্রধান বলেন, রাশিয়ার অভিযানের প্রথম পর্ব সমাপ্ত। এখন যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য হবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসকে ‘পুরোপুরি মুক্ত’ করা।
বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, রাশিয়া তাদের বিশেষ সামরিক অভিযানের জন্য দুটি বিকল্প নিয়ে ভাবছে। একটি পুরো ইউক্রেনকে দখল করা। অন্যটি হচ্ছে শুধু দনবাসকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফের অপারেশন বিভাগের প্রধান সের্গেই রুদসকো বলেছেন, এখন লুহানস্কের ৯৩ শতাংশ এবং দোনেৎস্কের ৫৪ শতাংশ রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে এএফপির খবরে বলা হয়, দক্ষিণের বন্দরনগর মারিউপোলের থিয়েটারে গত সপ্তাহের হামলায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শহরটির কর্তৃপক্ষ বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *