Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ইরানের দখলে থাকা হরমুজ প্রণালীর চারপাশের জাহাজগুলোকে রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এক সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গত সপ্তাহে হরমুজ প্রণালীতে দু’টি তেলবাহী জাহাজের উপর ইরানের নৌবাহিনী হামলা চালায়। তারই জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহান্তে উপসাগরীয় অঞ্চলে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠাবে। এ -১০ বিমানগুলিকে ইতিমধ্যেই সেখানে পাঠিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইরান প্রণালীর কাছে দুটি তেল ট্যাংকার আটক করার চেষ্টা করার পর এই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে ।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা, যিনি এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক অভিযান নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এফ -১৬ জলপথ দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলিকে টার্গেট করতে সক্ষম এবং এই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করবে। মার্কিন নৌবাহিনী বলেছে যে, সাম্প্রতিক দুটি ঘটনায়, ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী ইউএসএস ম্যাকফাউল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ইরানী নৌযানগুলো পিছু হটে।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের আরও বলেন, সিরিয়ার আকাশে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি সামরিক বিকল্প বিবেচনা করছে। কর্মকর্তা বিকল্পগুলি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও অঞ্চল ছাড়বে না এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসাবে সিরিয়ার পশ্চিম অংশে নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা, মার্চ মাস থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। মস্কো, তেহরান এবং সিরিয়ার সরকারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের জেরে যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়া ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাটি শুক্রবার সকালে ছিল যখন একটি রাশিয়ান বিমান পূর্ব সিরিয়ার আল-তানফ গ্যারিসনের উপর বারবার উড়েছিল, যেখানে মার্কিন বাহিনী সিরিয়ায় তাদের মিত্রদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং আইএসআইএল কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে।
রাশিয়ার এএন-৩০ বিমান ঘাঁটিতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছিল।ওই এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো যুদ্ধবিমান ছিল না তাই রাশিয়ান ফ্লাইটের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। দেশটিতে প্রায় ৯০০ মার্কিন বাহিনী রয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা

