আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইরানে নিজ পরিবারের ১২ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনি এমন কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরমানের ফারিয়াব গ্রামে লোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

এদিকে, পুলিশের গুলিতে অভিযুক্ত ওই যুবক (২৫) মারা গেছেন। তবে তার নাম পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি স্থানীয় প্রশাসন। কেরমান প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম হামিদি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হামলাকারীর পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। শনিবার সেই ঝামেলা চরপ পর্যায়ে উঠলে ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ওই যুবক।

 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হঠাৎ করেই বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকেদের ওপর হামলা চালান এই যুবক। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্দুক থেকে গুলি ছোড়েন। এতে তার বাবা ও ভাইসহ পরিবারের মোট ১২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

 

খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, তারা পৌঁছানোর পরও যুবকের হাতে বন্দুক ছিল। এমনকি, পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করেও গুলি চালান তিনি। পুলিশ বার বার তাকে ধরনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। কিন্তু তিনি সেটা না করে পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করেন।

 

একপর্যায়ে পুলিশ তাকে নিরস্ত্র করতে পাল্টা গুলি চালালে যুবকটি মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে অভিযুক্ত যুবক তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিলেন। এদিকে, এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

 

ইরানে এই ধরনের পারিবারিক বন্দুক হামলার ঘটনা খুবই বিরল। সবশেষ ২০২২ সালে এক ব্যক্তি চাকরি হারানোর জেরে অফিসের মধ্যেই গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেন ও পরে নিজেও আত্মহত্যা করেন। ২০১৬ সালে ২৬ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে গুলি করে ১০ জনকে খুন করার অভিযোগ উঠেিছিল।

 

-সূত্র: রয়টার্স

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *