Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এই আগ্রাসনকে অত্যন্ত বড় ধরনের অপরাধ ও বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন।

 

খামেনি বলেছেন, এটি পুরো মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়। তাই গোটা উম্মাহকে সব ধরনের মতভেদকে পাশ কাটিয়ে এই অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের সব অঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষকে এই বিশ্বাসঘাতকতামূলক ও বিপর্যয়কর পদক্ষেপ মোকাবেলা করতে হবে। যাতে আবারও শিশু-হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ফিলিস্তিনি জনগণের শরণার্থী হওয়া ঠেকানো যায়।

 

বৃহস্পতিবার তেহরানে ফার্সি নববর্ষ ১৪০৪ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা এ আহ্বান জানান।

 

খামেনি বলেছেন, গত বছর ইরানি জাতি ও মুসলিম উম্মাহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হারিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, যিনি এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এছাড়া, দামেস্কে বেশ কয়েকজন ইরানি উপদেষ্টা নিহত হন এবং তেহরান ও লেবাননে পরবর্তী কিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।

 

খামেনি এ সময় তেহরান ও বৈরুতে ইসরাইলের হাতে হামাস ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের হত্যার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।

 

তিনি বলেন, (ইরানি) প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর জাতীয় ঐক্য ও দৃঢ় মনোবলের চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল, যা বিশাল জনসমাগমে রাইসির জানাজার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এটি আবারও প্রমাণ করে যে, এ ধরনের দুর্যোগ ইরানি জাতিকে দুর্বল করতে পারে না।

 

দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, বিশেষ করে বছরের শেষার্ধে ইরানি জনগণ কঠিন সময় পার করেছে। তবে তিনি তাদের অসাধারণ মানসিক দৃঢ়তা, আত্মিক শক্তি ও ঐক্যের প্রশংসা করেন।

 

তিনি আরও বলেন, লেবানন ও ফিলিস্তিনের জনগণকে ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় সহায়তা দিতে ইরানি জনগণের উদারতা ও সংহতি প্রশংসনীয়। বিপুল জনসমর্থন ও সহায়তা প্রমাণ করে যে, ইরানি জাতি ইসলামি সংহতি ও মানবিক প্রচেষ্টার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সূত্র: ইরনা

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *