আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: গত মাসেই ইতিহাস সৃষ্টি করে চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান- ৩। তার ১২ দিন পরেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উড়ে যায় দেশটির প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল ১। চন্দ্র, সূর্যের পর এখন সমুদ্র অভিযানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
সম্প্রতি একটি সমুদ্রযানের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। চেন্নাইয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশেন টেকনোলজিতে তৈরি হচ্ছে ভারতের সমুদ্রযান ‘মৎস্য ৬০০০’। কয়েক বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল এ পরিকল্পনা। উদ্দেশ্য সমুদ্রের গভীরে গিয়ে রহস্য ভেদ। সাবমেরিনের মতো দেখতে হলেও কাজকর্মে এই সমুদ্রযানটি অনেকটাই ভিন্ন। তৈরির কাজও প্রায় শেষের দিকে।
সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যেই যানটি তৈরি করা হচ্ছে। গভীর সমুদ্রাভিযানের ক্ষেত্রে পানির চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম যানটি।
সমুদ্রের নিচে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম হলেও প্রথম অভিযানে ৫০০ মিটার নিচে নামানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের নোনা পানিকে খাবার পানিতে পরিণত করা, সমুদ্রের পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো বিষয়ে গবেষণা চালানো হবে এই অভিযানে।
চেন্নাইয়ের এনআইওটি-তে গিয়ে নিজে ‘মৎস্য ৬০০০’-এর কাজ খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। যানটির ভেতরে প্রবেশ করেন এবং কিভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স, চীন এই ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান করেছে। এবার ভারতও তাদের নাম লেখাতে চলছে।
চন্দ্রযান-২ এর ঐতিহাসিক সাফল্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত চাঁদে অবতরণের গৌরব অর্জন করে। তাছাড়া চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা প্রথম দেশ হিসেবে নাম লিখিয়ে নেয় ভারত।
এদিকে, গত ২ সেপ্টেম্বর সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল ১। পৃথিবীর তৃতীয় কক্ষপথও পেরিয়ে গেছে এ সৌরযান।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত পৃথিবীর সব কয়টি কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে মহাকাশে সূর্যের পথ ধরবে আদিত্য এল-১। এটি যাত্রাপথের কয়েক হাজার ছবি পাঠাবে।
-সূত্র: এনডিটিভি

