ডায়ালসিলেট ডেস্ক:: রাজধানীর সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ র্যা পিড ডট ব্লট’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিট বিএসএমএমইউ ছাড়া কাউকে দেয়া হয়নি।
আজ (সোমবার, ২০ জুলাই) সকালে দেয়া বিবৃতিতে ডা. মুহিব উল্লা বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট’ দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া তথ্য উপস্থাপনের কারণে সাহাবউদ্দিন মেডিকেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোথাও গণস্বাস্থ্যের কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে–এমন খবর পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোরও অনুরোধ করেন তিনি।
ডা. মুহিব বলেন, এই কিটের কোনো বিপণন হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষার জন্য বা ট্রায়ালের জন্যও দেয়া হয়নি এই কিট।
গণস্বাস্থ্যের কিট দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে ডা. মুহিব বলেন, আমরা মনে করছি, করোনার মহাদুর্যোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গণস্বাস্থ্য সরকারের অ্যান্টিবডি টেস্ট এবং কিট সংক্রান্ত সব প্রকার নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে উল্লেখ করে ডা. মুহিব।
করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রবিবার সিলগালা করে দেয় র্যাব।
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ শনাক্ত রোগীকে করোনা পজিটিভ ঘোষণা দিয়ে ভর্তি রেখে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি পেয়েছে র্যাব। হাসপাতালের দুই কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদি। অভিযান শেষে রাতে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র্যাব।

