ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: আফ্রিকায় দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে একে একে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এমপক্সটি মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া ও পাকিস্তান।

 

 

এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এবার নিয়ে দুই বছরের মধ্যে দুবার সংক্রামক এ রোগে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কোন দেশে কবে থেকে এমপক্স ছড়াল, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

 

 

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ হাজার মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ১০০ জনের বেশি। আক্রান্ত ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিশু।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার সুইডেনে প্রথম এমপক্স শনাক্ত হয়েছেন। দেশটির জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, এমপক্স শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তি আফ্রিকার একটি দেশে অবস্থানকালে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আফ্রিকার বাইরে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।

 

 

 

গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত একাধিক জেলায় অন্তত ৬১ জনের এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর জানায় আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য, দেশটিতে কেউ এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৭ আগস্ট জানায়, আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় ৪ জনের এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ রোগে এখনও কেউ মারা যাননি।

 

 

আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় ২ জনের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। দুজনই উগান্ডার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁদের থেকে কারও শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রথম এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর জানায়। পরদিন শুক্রবার আরও দুই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। তিনজনই মধ্যপ্রাচ্য থেকে সম্প্রতি পাকিস্তানে ফিরেছেন। এ অবস্থায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করেছে।

 

 

 

গত ২৯ জুলাই কেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইবি এমপক্সে একজন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকায় সংক্রমিত এলাকাগুলোয় ভ্রমণকারীদের এমপক্স প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার সুপারিশ করেছে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি)।

 

 

 

তবে ইসিডিসি বলেছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি এমপক্স পরিস্থিতি নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা সত্ত্বেও এটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।

 

এ মুহূর্তে এমপক্স ভাইরাসের কয়েকটি ধরনের সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ধরন বেশি বিপজ্জনক। ‘ক্লেড ১বি’ নামের ধরনটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শনাক্ত হয়েছে।

 

এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এমপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ ফ্লুর মতো। রোগের একপর্যায়ে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *