সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছমির আলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এম এ জি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ছমির আলী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ডুমাই উল্লার ছেলে।

 

এদিকে, রোববার রাতে ওই বৃদ্ধের ছেলে নিহতের পক্ষের শাহ জামান উল্লা মুক্তার বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় ৪২ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহার নামীয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নোয়াগাঁও গ্রামের রইছ উল্লার ছেলে বাদশা মিয়া (৫৫), তাঁর ছেলে শাকিব মিয়া (২০) ও তোতা মিয়ার ছেলে অপু মিয়া (২০)।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই বৃদ্ধ আহত হন। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান। হঠাৎ করে রোববার দুপুরে তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে দ্রুত সিলেট এম এ জি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন নিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহ জামান উল্লা মুক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের ইজাজ আহমদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত উভয় পক্ষের ১০ জনকে আটক করে। পরে শনিবার আটকৃতদের পুলিশ আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হলে, দুই পক্ষের আপস-মীমাংসার প্রস্তাবে আদালত তাদের জামিন দেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *