Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

 

সোহেল আহমদ ::  সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামী ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটের সময় শাহপরাণ এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী করে দিব্য সরকারকে  গ্রেফতার করা হয়।

 

 

এদিকে উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে মান সম্মানহানি ঘটানোর জন্য নিরীহ কিছু যুবককে আসামী দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন ওসমানি মেডিকেল কলেজ পিএ টু প্রিন্সিপাল ও সচিব  মো.মাহমুদুর রশিদের(৫১)

 

 

এবিষয়ে হবিগঞ্জ এর আজমেরিগঞ্জ থানার মৃত মামুনুর রশিদের ছেলে ওসমানি মেডিকেল কলেজ পিএ টু প্রিন্সিপাল ও সচিব  মো.মাহমুদুর রশিদের(৫১) সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

 

অন্যদিকে মামলায় আসামী বানিয়ে এক যুবকের বাসায় প্রতিদিন পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এতে সেই পরিবারের লোকজন আতঙ্কে সময় পার করছেন।  পুলিশের ভয়ে অনেকে এলাকায় ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

 

 

 

এব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ এর সাথে কথা বললে তিনি  ডায়ালসিলেটকে বলেন, এ ঘটনার তদন্ত কাজ চলছে। ঘটনার সত্যতা আমরা তুলে ধরবো। তবে যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের বাসায় পুলিশ যাচ্ছে আর যেহেতু এই ছেলেকে আসামী করা হয়েছে সেজন্য আমরা তার বাসায় যাচ্ছি। আসামী হলে তো যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। সে যদি নির্দোষ হয় তাহলে সুষ্টু তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এতটুকু আশ্বাস দিতে পারি কোন নিরপরাধ লোক এ মামলায় ফাসবে না।

 

 

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, মূলত ঘটনার মূল সূত্রপাত হলো, গত ০১ জানুয়ারী সিলেট ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে কাজলশাহ বাসিন্দা মূদুলের বন্ধু তার মাকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৪তলা ৩ নং ওয়ার্ডে। সেখানে সিট থাকা সত্ত্বেও ফ্লোরের বেডে রাখা হয় তার মাকে।

 

 

 

এসময় ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিসক না থাকায় ওয়াডের আয়া ও বয়কে সিটের ব্যবস্থা করার জন্য বো হয়। পরে বয় ও আয়া তখন তাদের কাছে  এক হাজার টাকার দাবি করে। শেষে তারা ৬০০ টাকা দিতে সম্মত হয় এবং আয়া ও বয় আশ্বাস দেয় সিটের ব্যবস্থা করে দিবে। পরে মূদুল তার বন্ধুকে রেখে চলে যায়। কয়েক ঘন্টা পর সন্ধ্যা হয়ে রাত হয়ে গেল এখনো পযন্ত সিটের কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় বন্ধুটি আবার মূদুলকে ফোন দিল।  পরে মূদুল এসে বিষয়টি ইন্টার্নি ডাক্তারকে জানালে। মূদুলকে তার পরিচয় জানতে চায় রোগীর কি হয় ।

 

 

 

সে পরিচয় দিলে ইন্টার্নি ডাক্তার তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। সে তার প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে ইন্টার্নি চিকিসকের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পযায়ে ইন্টার্নি চিকিসকের সামনে থাকা এক ছেলে তাকে থাপ্পর মারে। পরে মৃদুল তার ভাইকে মোবাইলে মারধরের বিষয়টি অবগত করলে ঐ মূহূর্তে আব্দুল্লাহ এসে এর প্রতিবাদ জানালে ইন্টার্নি চিকিসকের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়।

 

 

পরে ইন্টার্নি চিকিসকরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের সামনেও বেশ কয়েকজন মিলে আব্দুল্লাহ ও তার ভাইয়ের উপর হামলা করে ইন্টার্নি চিকিসকসহ বেশ কয়েকজন। পরে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে  হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প মূদুল ও তার ভাই আব্দল্লিাহকে নিয়ে যায়।এরপরে আব্দুল্লাহ চাচা  এসে পুলিশ ক্যাম্প এ গিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনেন।

 

 

 

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, পরদিন ঐ ইন্টার্নি চিকিসকরা মেডিকেলের ১ন গেইটের সামনে ফুচকা খেতে আসলে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগী দেখতে পেলে ইন্টার্নি চিকিসকরা ধাওয়া করে পরে ইন্টার্নি চিকিসকরা পাল্টা ধাওয়া করে।

 

 

তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এর কয়েকঘন্টা পর মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ  সভাপতি আসাদ গ্রুপের  সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাদেল গ্রুপের নাজমুলের ইন্দনে ইন্টার্নি চিকিসকদের নিয়ে রাত ১টার সময় রাস্তা অবরূধ করে। এরই প্রতিবাদে সোমবার রাত ১০টার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা জরুরি, হৃদরোগ ও বর্হিবিভাগ ছাড়া হাসপাতালের সকল বিভাগে সেবা বন্ধ করে দেন। এতে ভোগন্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ জনগণদের।

 

 

এদিকে সোমবার রাত ৮টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথের উপর হামলা চালিয়েছে বলে হাসপাতালে ভর্তি দেখিয়ে ৮ জনের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

ওসমানি মেডিকেলে আধিপত্য বিস্তার করতে ওসমানি মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুলের ইন্দনে এলাকায় বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

 

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *