ডায়অল সিলেট ডেস্কঃ-
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সড়ক মেরামত হচ্ছে না, ঠিক নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অনেক এলাকায় নষ্ট সড়কবাতি। নালা-নর্দমা পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবছে শহরবাসী। পৌরশহর বিয়ানীবাজারের এমন দশার কারণ, অর্থসংকট।
সরজমিন দেখা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলির রাস্তাও ভাঙা। রয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তা সংস্কার নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে পৌর শহরের সড়কগুলো বেহাল। এতে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ। সড়কের পিচের সঙ্গে উঠে গেছে খোয়াও। ইট-সুরকির জোড়াতালি দিয়ে চলছে সড়কগুলো। মশা নিয়ন্ত্রনে নেই কোনো উদ্যোগ।
মূলত, অর্থসংকটেই কচ্ছপ গতিতে চলছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রম। বেশির ভাগ প্রকল্প কার্যত বন্ধ রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত কার্যক্রম থেকে শুরু করে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও চলছে ধীরগতি।
পৌরসভার কর্মকর্তারা জানান, বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ-রাস্তাঘাট মেরামত, নর্দমা পরিষ্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে। এই কাজগুলোতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকুঞ্জ ব্যানার্জি জানান, গত একবছরে মাত্র দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। আরো কিছু টাকা পাইপলাইনে আছে। যে কাজগুলো অর্ধেক বা অপেক্ষমাণ রয়েছে বরাদ্দের টাকা পাওয়া মাত্র সেগুলোর কাজ শুরু করতে পারবো। সব কাজ একসঙ্গে করা যাবে না।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার আয়ের প্রধান উৎস হোল্ডিং ট্যাক্স, সম্পত্তি কর, ট্রেড লাইসেন্স ও বাজার ফি’ । কিন্তু এসব খাতে আয় আশানুরূপ হচ্ছে না বলে সংকট কিছুটা বেড়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে আয় বাড়াতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। স্থানীয় আয় দিয়ে পৌর এলাকার উন্নয়নের চেষ্টাও চলছে। এরপরও অনেক সময় প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরও অর্থাভাবে কাজ থেমে যাচ্ছে।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তফা মুন্না জানান বলেন, ‘আমাদের অর্থবছর তো শুরু হলো। রাজস্ব আদায়ে আমাদের টার্গেট বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। কোনো অর্থসংকট নেই। দৈনিক নাগরিক সেবার জন্য অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাই চাইলেও সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব হচ্ছে না।

