ডায়াল সিলেট ডেস্ক:  মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উৎপাদিত ধান বীজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর চুক্তিবদ্ধ চাষীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিএডিসি চুক্তিবন্ধ চাষী সমিতির উদ্যোগে উপজেলা চৌমুহনা চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়। পরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন প্রদান করা হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিএডিসি চুক্তিবদ্ধ চাষী সমিতির সভাপতি নগেন্ড কুমার সিনহ এর সভাপতিত্বে ও শামসুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আতিকুল ইসলাম, আজাদ হোসেন, মোবাশ্বির আলী, আশরাফ আলী, আব্দুল মালিক, সুমন মিয়া প্রমুখ।
বক্তব্য বলেন, খাদ্যের ধান উৎপাদন করতে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় না। তবে বীজ ধান উৎপাদনের জন্য অধিক সতর্কতা অবলম্বনে একই জাতের বীজতলায় বপন করতে হয়। একজাত বীজধান রোপন করতে পারচিং, বড়লাইন ও রগিং করতে হয়। সব জাতের সুষম জৈব সার দিয়ে পোকা মাকড় দমন ও রোগ বালাই করতে হয়। বর্তমানে সার, ডিজেল, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকের মূল্য এবং গ্রেডিং এর মূল্য চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান শুকানো সহ সর্বদা দাম নিম্নমুখী করা হয়েছে। বাজারে যে ধান বিক্রি করা হয় সে ধানের আদ্রর্তা ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ ও খঢ়, ধুলা, চিটাসহ থাকে। অথচ বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা বীজ ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশের মধ্যে রাখতে হয়। এর মধ্যে খড়, ধুলাবালি, চিটা মুক্ত করে দিতে হয়।
তারা আরও বলেন, ১৯৮১ সালের নিয়মে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দর নির্ধারণ করেছে। পক্ষান্তরে বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিএডিসি গ্রেডিং চার্জ কেজি প্রতি ১৫ পয়সা থেকে ৪ গুণবৃদ্ধি করে ৬০ পয়সা করেছে। অথচ যে প্রক্রিয়া দর ধার্য করা হয় সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর নজরদারি না করে আগের নিয়মে দর ধার্য করেছেন। এ ব্যাপারে বিএডিসি’র সিলেট বিভাগী উপ-পরিচালক আশুতোষ দাস বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখেন। চাষীদের অভিযোগের বিষয় সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *