ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ মহামারি করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো পৃথিবী। প্রতিটি দেশ করোনার টিকার জন্য অপেক্ষা করছে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকাটি বাংলাদেশে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির দিকে পাওয়া যেতে পারে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অনেক দেশেই করোনা ভাইরাসের টিকার ট্রায়াল শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। তাই খুব দ্রুতই হয়তো চলে আসতে পারে করোনার টিকা। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে করোনার টিকা আসলে সেটার দাম কত পড়বে?
বাংলাদেশ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে পাঁচ ডলার অর্থাৎ চারশো টাকার কিছু বেশি দামে করোনার টিকা কিনবে।
আর যদি বেসরকারিভাবে এই টিকা কেনা হয় তাহলে দাম পড়বে আট ডলার অর্থাৎ প্রায় সাতশো টাকা করে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকাটি উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে।
মূলত তাদের কাছ থেকেই বাংলাদেশের বেসরকারি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এই করোনার টিকা আমদানি করে সরবরাহ করবে।
এদিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সময়মতো ভ্যাকসিন পাবে দেশের মানুষ।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার আরেকটা ধাক্কা আসছে বিশ্বব্যাপী। আমরা সেজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে আমি বলব সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা এবং এর ফলে যেন মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়, কারণ প্রথম দিকে আমাদের অভিজ্ঞতা ছিল না। এখন আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা এবং অপরকে সুরক্ষিত করার এই দায়িত্ব সকলকে পালন করতে হবে।
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তিরা আগে করোনার টিকা পাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য সবাইকে এই টিকা দেয়া হবে। তবে কীভাবে সরকারি টিকার বিতরণ হবে, তার কোনো গাইডলাইন এখনো তৈরি করা হয়নি।

