ডায়ালসিলেট::
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সিলেটের কানাইঘাটে ১২ বছরের এক শিশুকন্যাকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মসজিদের এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ইমামের নাম রিয়াজ উদ্দিন (৩০)। আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কানাইঘাট থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১ম খন্ড গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র দুই সন্তানের জনক মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মনোহর টুক জামে মসজিদে ইমামতি করছেন। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মসজিদের মক্তবের ছাত্রী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের পিতৃহীন ১২ বছরের ওই মেয়েকে তার নিজ বাড়িতে আরবি শিক্ষা দেওয়ার সময় কোলে বসিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন ইমাম রিয়াজ উদ্দিন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। যৌন নিপীড়নের শিকার মেয়েটির পরিবারের লোকজন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচারপ্রার্থী হলেও ঘটনাটির কোনো বিচার হয়নি।
এ ঘটনা জানার পর থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএমের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ইমামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন থানার এসআই এস এম মাইনুল ইসলাম। ভিকটিম মেয়েটিকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। এছাড়া মসজিদের ইমাম রিয়াজ উদ্দিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যৌন নিপীড়নের দায় স্বীকার করেছেন।
কানাইঘাট থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ ভিকটিম শিশুটিকে গত একমাস ধরে মসজিদের মক্তবে আরবি শিক্ষা দেওয়ার পর মক্তবের অন্যান্য শিশুদের বিদায় দিয়ে মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন করতেন। কাউকে এসব ঘটনা না বলার জন্য মেয়েটিকে শাসিয়ে ভয়ভীতি দেখাতেন মসজিদের ইমাম। ঘটনাটি জানার পর ভিকটিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে রিয়াজকে আমরা গ্রেপ্তার করি।
ওসি আরও জানান, মেয়েটির চাচা সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মসজিদের ইমাম রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

