ডায়ালসিলেট ডেস্ক::কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামীকাল থেকে সব শিল্প কারখানা খুলে দিচ্ছে সরকার। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কলকারখানা খোলার খবরে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে সাইনবোর্ড এলাকায় দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এসে জড়ো হয়েছেন। গণপরিহন বন্ধ থাকায় তারা ছোট ছোট যানে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
সাইনবোর্ডের মতো একই অবস্থা দৌলতদিয়ায়। প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। ফেরি পারাপারের সময় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব দেখা যায়নি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। মাওনা চৌরাস্তায় কথা হয় নারী শ্রমিক রেহেনা আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে ভোর ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে রওনা হয়েছেন টঙ্গীর উদ্দেশে। ৬০ কিলোমিটার সড়ক পার হতে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশায় আসতে হয়েছে। এতে তাকে ৭০০ টাকা খরচ গুনতে হয়েছে। বাকী ৪০ কিলোমিটার পথ তাকে অতিরিক্ত ভাড়ায় চলতে হবে।
অপর শ্রমিক আমিনুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঈদের ছুটির পর কারখানা খুলে দেওয়ায় তাদের বিপদে পড়তে হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঢাকামুখী প্রায় সব যাত্রী জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে তাদের কারখানা খুলছে। এ জন্য ভোগান্তি সত্বেও ঢাকায় আসছেন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে হচ্ছে তাদের। একইসঙ্গে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ডায়ালসিলেট এম/

