ডায়ালসিলেট ডেস্ক::প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে। কারণ জাতিসংঘ কর্তৃক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের চলতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১’ -এর স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র থেকে শুরু করে সব সরঞ্জাম সম্পর্কে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রশিক্ষিত হবে এবং জ্ঞান লাভ করবে; সেটিই আমার চেষ্টা। কারও কাছ থেকে যেন আমরা পিছিয়ে না থাকি।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সরকার সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক সব যুদ্ধাস্ত্র, বিমান ও হেলিকপ্টারসহ মডার্ন ইনভেন্টরি গেজেট, বিভিন্ন আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামাদি ইত্যাদি সংযোজন করেছে। নতুন নতুন নৌ ও সাবমেরিন ঘাঁটি আমরা নির্মাণ করছি। বিমানবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ ক্রয় করি ৯৬ সালে। পরবর্তীতে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান, র‍্যাডার ইত্যাদি সংযোজন করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রশিক্ষিত ও যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গড়ার  লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ণ করেছি। আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ণ করেছি। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।

১৯৯৬ সালে সরকারে এসে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে, সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। সে সময় সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নিই।

তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ওয়ার কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং ও আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ করি।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *