ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ওরাল ক্যান্সার বর্তমানে ছড়িয়ে পড়ছে সারাবিশ্বে। একসময় এ রোগ তেমন পরিচিত ছিল না। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং শ্রীলংকার অন্যতম প্রধান সমস্যা এটি। আর এর মূল কারণ এসব অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস, অভিরুচি, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট ও ব্যক্তি বিশেষে বদঅভ্যাসের জন্য । যেমন- সুপারি-জর্দা চিবানো, তামাক ও অ্যালকোহলের ব্যবহার।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওরাল ক্যান্সার মূলত জিহ্বা, মুখ, মুখের পেছনে গলা ও ঠোঁটের স্কোয়ামাশ টিস্যুতে হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
এবিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ডেন্টাল শিক্ষা) ডা. মো. মোশাররফ হোসেন খন্দকার (মুসা) বলেন, ওরাল ক্যান্সার কেন হয় তার মূল কারণ পান, সুপারি, গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অন্যান্য তামাক বা তামাকজাত পণ্য গ্রহণ করা। এমনকি বেশিমাত্রায় অ্যালকোহল পান করা বা বংশগত কারণ হতে পারে। অনেক সময় সূর্যের আলোতে অতিরিক্ত অবস্থান, বিশেষত অল্প বয়সে, ঠোঁট বা মুখে দীর্ঘদিনের ঘা, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)। নির্দিষ্ট এইচপিভি স্ট্রেনগুলো স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমার (এসিসি) জন্য দায়ী।
আর এসব থেকে কি করবেন: তামাক, তামাকজাত পণ্য ও অ্যালকোহল সেবন পুরোপুরি বাদ দেওয়া। সূর্যের আলোতে সরাসরি অবস্থান না করা। দাঁতের নিয়মিত যত্ন নেওয়া। মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখা শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের জন্য জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর সবজি ও ফল থাকা উচিত। সবুজ-লাল-হলুদ-বেগুনিসহ নানা রঙের সবজি ও ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে।
বছরে দু’বার ডেন্টাল চেকআপ করলে, মুখের ক্যান্সার বা যে-কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা প্রথমেই ধরা পড়ে। তাহলেই দ্রুত সেসব প্রতিকার করা সম্ভব হবে।

