ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল বাংলাদেশী আদিবাসী নেতা ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। পাহাড়ি জনতার প্রাণের দাবিতে তিনি সারা জীবন আন্দোলন করে গেছেন। ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর তার আন্দোলনের সফলতা অর্জিত হয় শান্তিচুক্তির মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি সদরের চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় এমএন লারমার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দলীয় নেতাকর্মীরা ও সমর্থকরা। এ ছাড়া দীঘিনালা উপজেলায় এমএন লারমার স্মরণে শোক র্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপ।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ের জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা আমৃত্যু আন্দোলন করে গেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ঘাতকরা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে ম্লান করতে পারেনি। জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা। সন্ধ্যায় মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাসহ আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন ও ফানুস উড়ানো হবে।
এ সময় জেএসএস এমএন লারমার কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নরেশ চাকমা , খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহসভাপতি প্রীতি খীসা ও দীঘিনালা কার্বারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেমব্রত চাকমা অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মাওরাম (মহাপুরম) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, যা এখন কাপ্তাই বাঁধের কারণে কাপ্তাই হ্রদের তলে ডুবে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরার রাজ্যগুলিতে বসবাসরত চাকমা উপজাতির ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮৩ সালে ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় তৎকালীন শান্তিবাহিনীর প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।

