ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাদের বাসায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!হামলাকারীরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মেহেদীবাগের বাসায় হামলা চালিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালের চট্টেশ্বরী রোডের বাসার নিচে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করে। নগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ উল্ল্যাহর পাঁচলাইশের বাসায় গাড়ি ভাঙচুর করে।
নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসায় ভাঙচুর করার পাশাপাশি প্যাকিং এ থাকা বিভিন্ন ফ্ল্যাট মালিকের অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। শনিবার রাতে এসব হামলা চালানো হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় হামলার চেষ্টার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঐদিন রাত ৮টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম নাম মো. শহীদ (৩৬)। তিনি চকবাজারের রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে একদল লোক সিটি মেয়রের বাসায় হামলার চেষ্টা করে। এ সময় বাসার মূল ফটক ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোড়ে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। তখন পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর মধ্যে মো. শহীদকে গুরুতর আহত অবস্থায় নগরের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। নিহত শহীদ এক বছর আগে বিয়ে করেন । তাঁর স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।
এর আগে সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর চট্টগ্রাম নগরের মেয়র গলির চশমা হিলের বাসায় হামলা চালানো হয়। নগরের লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন দেওয়া হয়।

