নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও  ৪র্থ আসামি অর্জুন লস্কর  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে এবং অপর আসামী অর্জুনকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত দুজন সাইফুর ও অর্জুন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রণজিৎ সরকার বলয়ের অনুসারী বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে। অন্য আরেক আসামী অর্জুন লস্কর জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম গ্রামের কানু লস্করের ছেলে।

এসময় প্রধান আসামী সাইফুর তার চুল এবং মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলে যাতে সে গ্রেফতার এড়াতে বাঁচতে পারে। সে সীমান্ত পথে  ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে একটি সূত্র জানায়।

এর আগে  গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী ঐ তরুণীরে স্বামী।

এতে এম সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে মামলা করে ভোক্তভোগী স্বামী। এদের মধ্যে আরো চারজন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা হলেন মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। মামলার আসামীদের মধ্যে আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। এরা সবাই (টিলাগড়ের গ্রুপের) ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন।

এর আগে গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর মধ্যরাতে এমসি কলেজের হোস্টেলে সাইফুলে কক্ষে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১ টি পাইপগান, ৪ টি রামদা, ১ টি চাকুসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরদিন ধর্ষণ মামলার সাথে সাইফুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানায় ধর্ষণ মামলার আসামী অর্জুন লস্করকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং প্রধান আসামী সাইফুর রহমানকে সিলেটে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *