Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

স্টাফ রিপোর্টার ::  সিলেটে বহুল আলোচিত আইনজীবী সিরাজুল ইসলামকে প্রতারণা মামলায় কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছের আদালত।

 

 

 

রোববার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের মামলায় শুনানি শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 

 

 

এর আগে  গির্জা ও কবরস্থানের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় দুইবার কারাভোগ করতে হয়েছে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামকে।

 

 

সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারের পুলিশ লাইন্স লুসাই গির্জা সমিতির জায়গা ও তাদের কবরস্থানের ভূমি জালিয়াতি করে সাফকবলা দলিল, জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও নামজারি করার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৯ জুন মামলা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।

মামলায় জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার, ভূমি অফিসের কানুনগো ও তহশিলদারকে আসামি করা হয়। সাব-রেজিস্ট্রার সিলেট থেকে বদলি হওয়ার পর পলাতক থাকলেও মামলায় জামিনে ছিলেন সিরাজসহ অন্য দু’জন।

 

 

সম্প্রতি পুলিশ লাইন্স লুসাই গির্জা সমিতির চেয়ারম্যান জমিংথাংগা লুসাই হুমকির অভিযোগে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ডিজি করেন। পাশাপাশি আদালতে জামিন বাতিলেরও আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী নাহিদা।

 

 

রিকাবিবাজারের সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামের সামনে গির্জার জায়গা ও কবরস্থান দখল করে ইম্পালস টাওয়ার গড়ে তোলেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। তিনি সাক্ষী সেজে ছাফিয়া আহমদ নামে এক নারীর নামে ১৯৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি গির্জার ১৫ শতক জমি ইজারার জন্য একটি বায়নাপত্র করেন। ওই বায়নাপত্র রেজিস্ট্রি না করে সিরাজুল ইসলাম ২০০৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইজারা বলবৎ থাকাবস্থায় গির্জা সমিতির অবশিষ্ট ৮০ শতক জায়গা একটি সাফকবলা দলিল নিজে সম্পাদন করেন।

 

 

এ নিয়ে মামলা হলে ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর ওই দলিল বাতিল করেন আদালত। পরে টাওয়ারে বিনিয়োগকারীসহ গির্জা সমিতির সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের একাধিক মামলা হয়। পাশাপাশি গির্জা সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক সিরাজুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *