Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারকে অতিদ্রুত পুনর্বাসন করার দাবি জানিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ শীর্ষক জাতীয় মানবাধিকার সংলাপে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে নির্যাতিত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে রোডম্যাপ প্রণয়ন করার কথাও বলা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে গুম, খুন, হত্যা নির্যাতনের নগরীতে পরিণত হয়েছে গোটা দেশ।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি আর লুটেরারা ছিলেন ওনার (শেখ হাসিনা) ছত্রছায়ায়। আর হাসিনা জোর গলায় বলতেন আমার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। দেশ একক কতৃত্ববাদীতে চলে গিয়েছিল। গণতন্ত্র মানে কথা বলাই নয়, দেশের প্রতিটি সেক্টরে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল যে, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে, ৪০০ মানুষ অন্ধ হয়েছেন। কারো এক চোখ, কারো দুই চোখ হারাতে হয়েছে স্থায়ীভাবে। এক হাজার মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়েছেন। যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তাদের অডিও-ভিডিও ক্লিপ দেখে আন্তর্জাতিকভাবে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাহবুল হক বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে আহত এবং নিহতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসাসেবা, পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনে আহতদের মধ্যে কারো হাত, কারো পা কেটে ফেলতে হয়েছে, কারো আবার দুই পা কেটে ফেলতে হয়েছে। পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, নিঃসন্দেহে মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গবেষক ও উন্নয়নকর্মী আমিনুর রসুল, লিডোর নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ হোসেন, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
