বিনোদন ডেস্ক :: দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার পক্ষে চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ প্রদানের জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে আহ্বান করছি। আমি দুঃখিত যে, করোনার কারণে সশরীরে আসতে পারলাম না।
নিজেকে সিনেমাপ্রেমী আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো সিনেমা হলে যেতে পারি না। কিন্তু প্লেনে যখন দেশের বাইরে যাই তখন দেশি সিনেমা দেখি। প্রোডাকশনগুলো খুব ভালো লাগে। আবার কেউ যদি পেনড্রাইভে ছবি পাঠান সেটাও দেখি। ভালোই লাগে সিনেমা দেখতে। আমাদের দেশে সুপ্তপ্রতিভা আছে। তাদের কাজ দেখে মুগ্ধ হই।’
এবছর মোট ২৭টি বিভাগে ৩০টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’।
এরমধ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ থেকে চিত্রনায়ক সিয়াম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও ‘গোর’ থেকে চিত্রনায়িকা দীপান্বিতা মার্টিন হয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার পেয়েছে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘গোর’। আর একই সিনেমার জন্য ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ৪টি পুরস্কার পেলেন গাজী রাকায়েত।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এ যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন দেশের বরেণ্য দুই অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। এদিন রাইসুল ইসলাম আসাদ সশরীরে উপস্থিত থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আনোয়ারা। তার পক্ষে সম্মাননা নিয়েছেন মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি।
এছাড়াও যাদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক – গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা – এম ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী -অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি)
শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা – মো. সাহিদ হাসান মিশা সওদাগর (বীর)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী – মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি (গণ্ডি)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- মো. শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক – বেলাল খান (বিশ্বাস যদি যায়রে…)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক – প্রয়াত মো. সহিদুর রহামান (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])
শ্রেষ্ঠ গায়ক – মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])
শ্রেষ্ঠ গায়িকা – দিলশাদ নাহার কণা (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী]) এবং সোমনূর মনির কোনাল (ভালোবাসার মানুষ তুমি… বীর)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার – কবির বকুল (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])
শ্রেষ্ঠ সুরকার – মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার -গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার-গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক – মো. শরিফুল ইসলাম (গোর)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- পংকজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ (নিয়াজ) [গোর]
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা- এনামতারা বেগম (গোর)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *