ডায়াল সিলেট ডেকস
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
সিলেট জেলার ওসমানীনগরে সমন্বয়ক ও জামায়াত নেতা পরিচয়ে ইউএনওকে হুমকি দেওয়ায় মাহবুবুর রহমান (৩২) নামের এক যুবকের কারদান্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
মাহবুবব উপজেলার সাদিপুর ইউপির সাদীপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
জানা যায়, মাহবুবুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওসমানীনগর শাখার আহবায়ক ও জায়ামাত নেতা পরিচয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে জায়গার নামজারি করে দেয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের হুমকী প্রদান করে আসছিলেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর দায়িত্বেও ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কাজ না করে দিলে ছাত্রদের নিয়ে অফিস ঘেরাও ও ভাঙচুর করবেন বলে অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমান হুমকি দেন।
ঘটনার দিন সোমবার ভুমি অফিসে উপস্থিত হয়ে আবারো কর্মকর্তাদের হুমকী দিলে তাকে আটক করে ভ্রম্যমান আদালতের মুখোমুখি করানো হয়। ওই সময় মাহবুবুর দোষ স্বীকার করে বলে-তার চাচাতো ভাই ডা. আব্দুল লতিফ ও আমান আহমদ প্ররোচণা এমনটি করেছেন।
পরে আদালত তাকে দন্ডবিধির ১৮৬ ধারায় ২ মাসের কারাদন্ড ও ৫শ টাকার অর্থদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন বলেন, মাহবুবুর রহমান নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জামায়াত নেতা পরিচয় দিয়ে এসিল্যান্ডসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের হুমকী প্রদান ও সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। এরই ধরাবাহিকতায় সোমবার অফিসে এসে আবারও হুমকী দেয়। ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে তিনি দোষ স্বীকার করায় তাকে আইননগত ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অর্থ ও বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ওসমানীনগর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এদিকে, ওসমানীনগর জামায়াতের সেক্রেটারি আনহার আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রশাসনকে হুমকি দেওয়া মাহবুবুর রহমান জামায়াতের কেউ নন।

