ডায়াল সিলেট ডেস্ক : জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা বাজার পশুর হাটের খাস কালেকশনের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে রাজস্ব হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধায় খাস কালেকশন সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে কোন তথ্যই দেননি সহকারী (কমিশনার) ভূমি রতন কুমার অধিকারী।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!জানা গেছে, কাঙ্খিত মূল্য না উঠায় চলিত বাংলা সনে জুড়ী উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুর হাট ফুলতলা বাজারটি কোন মহালদারকে ইজারা দেওয়া হয়নি। প্রতি শনিবার এই বাজারে পশুর হাট বসে। এছাড়া প্রতি মঙ্গলবার কাচা বাজারও বসে। বিগত ১লা বৈশাখ থেকে উপজেলা ভূমি প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ফুলতলা বাজার পশুর হাটের টোল (খাস কালেকশন) আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার বিদ্যাধন সিংহ, অফিস সহায়ক সমর কান্তি দে ও হুরমান আলীর সিন্ডিকেট খাস কালেকশনে (টোল) আদায় করা টাকার নয়-ছয় করছেন। প্রতি হাটবারে দেড়/দুই লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও তারা নামমাত্র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, সরকারি রাজস্ব লুটের মুল কারিগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) সমর কান্তি দে। সে হাটের একটি ঘরের টেবিলে বসে দুই সহযোগি নিয়ে টোল আদায় করে। পশু ক্রেতার সাথে বামহাতের বনিবনা হয়ে গেলে রশিদে তিনি কম মূল্য ধরে টোল আদায় করেন। এছাড়া রশিদ না কেটেও টোল আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এতে সরকার ব্যাপক পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারীকে ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) বিদ্যাধন সিংহের নিকট থেকে খাসকালেকশনের হিসেবে নিকেশ বুঝে নিচ্ছেন।
প্রতি হাটবারে কি পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে, কিভাবে কোষাগারে জমা করা হয়, গত বাংলা সনে এই হাট বাজারের ইজারা মূল্য কত ছিল, টোল আদায়ে কোন অনিয়মের অভিযোগ আছে কি না এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি খাসকালেকশন সংক্রান্ত কোন তথ্যই দেননি। কোনভাবে তথ্য দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

