ডায়ালসিলেট ডেস্ক;:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!লাল বেনারসি শাড়ি পরে আজ শুক্রবার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুইটির। আত্মীয়-স্বজন মিলে বাড়িতেও ধুমধামের সঙ্গে চলছিল সব আয়োজন। তবে এক নিমিষেই থমকে গেল সব।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) গায়ে হলুদের দিন জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথা নিয়ে মৃত্যু হয় তার। সুসজ্জিত বিয়ের গেট দিয়ে শ্বশুরবাড়ির যাওয়ার কথা ছিল সুইটির। তার পরিবর্তে গায়ে সাদা কাফন জড়িয়ে কবরস্থানে যেতে হলো তাকে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত সুইটি আক্তার উপজেলার বাড়াচান্দুরা গ্রামের মো. রশিদ মিয়ার মেয়ে।
গায়ে হলুদের দিন সুইটির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। বিয়ে বাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছে শোকে।
জানা গেছে, কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন সুইটি। এরমধ্যে তার বিয়ে ঠিক হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুরের মো. শহীদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার বাড়িতে চলছিল গায়ে হলুদের আনন্দ। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় মা-মনি ক্লিনিকে নেয়া হয় তাকে।
পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নেয়া হয় তিতাস হসপিটালে। সেখান থেকে চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এলাকায় মৃত্যু হয় সুইটি আক্তারের। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে বিকেলে জানাজা ও দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, নিজের বিয়ের জন্য সাজানো গেট দিয়েই কবরস্থানে নেয়া হয় সুইটি আক্তারের লাশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মাধবপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ওই তরুণী কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আগেই চিকিৎসা করানো হলে হয়তো তিনি বেঁচে থাকতেন। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।

