স্পোর্টস ডেস্ক:;ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের শততম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে মোহাম্মদ নাঈম শেখের। তবে ব্যাট হাতে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তরুণ এই ক্রিকেটার। সাজঘরে ফেরেন খালি হাতে। ডাক মেরে লজ্জাজনক একটি রেকর্ডের অংশীদার হয়েছেন নাঈম। বাংলাদেশের ২৫তম অভিষিক্ত ব্যাটার হিসেবে শূন্য রানে আউট হন তিনি। আর মাত্র তৃতীয় ওপেনার হিসেবে লজ্জার রেকর্ডটি গড়েছেন নাঈম। নিউজিল্যান্ডের ৫২১ রানের পাহড়সম সংগ্রহের পর ইনিংসের শুরুটা ভালো পায়নি বাংলাদেশ। ১.২ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে ফেরেন ৭ রান করা সাদমান ইসলাম। পরের ওভারেই টিম সাউদির শিকার বনে যান নাঈম শেখ। ৫টি বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি এই বাঁহাতি। নাঈম শেখের আগে অভিষেক টেস্টে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ডাক মারার রেকর্ড রয়েছে সাইফ হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের। সাইফ ২০২০ সালে এবং জয় গত বছরের শেষদিকে লজ্জার রেকর্ডটি গড়েছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকে ‘পেয়ার’ বা জোড়া শূন্য পেয়েছিলেন আলমগীর কবির ও কামরুল ইসলাম। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া ডাকের রেকর্ড গড়েছিলেন আলমগীর। এরপর ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে পেয়ার মারেন কামরুল ইসলাম। নাঈম শেখের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশও গড়ে লজ্জার একটি রেকর্ড। ১১ রানে ৪ উইকেটের পর প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে ৫ উইকেট হারায় টাইগার বাহিনী। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে কখনোই এত কম রানে ৪ বা ৫ উইকেট হারায়নি তারা। সবচেয়ে কম রানে ৪ ও ৫ উইকেট হারানোর রেকর্ডটি ছিল ২০০৮ সালে ওয়েলিংটনে। সেবার ৪৪ রানে চতুর্থ ও ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সেবার ১১৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। এদিকে মেহেদী হাসান মিরাজকে বোল্ড করে মাত্র চতুর্থ নিউজিল্যান্ড বোলার হিসেবে টেস্টে ৩০০ উইকেট পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৭৫তম ম্যাচ খেলছেন এ পেসার। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তার ওপরে আছেন রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১), ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (৩৬১) ও টিম সাউদি (৩২৮)।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
