ডায়ালসিলেট ডেস্ক :স্থবির ও হতাশ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আশার সঞ্চার হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগের ফলে। গত সাত বছর ধরে জন্মভূমি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রত্যাবাসনের আশাহীন জীবন কাটাচ্ছিল। তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের পাশাপাশি জন্ম নিয়েছিল মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারের মতো অপরাধ প্রবণতা। জুলাই বিপ্লবের পর নতুন সরকারের বহুমাত্রিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে উদ্দীপনা জাগিয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি কয়েকদিন টেকনাফ, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সরজমিন গবেষণা তথ্য সংগ্রহকালে এই আশাবাদী দৃশ্যপট দেখা গেছে। তরুণ গবেষকদের দলটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজের নেতৃত্বে ফিল্ডওয়ার্ক পরিচালনাকালে দেখতে পান যে, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ‘নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ‘একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন’ আয়োজনসহ রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘জরুরি মনোযোগ’ দেয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান রোহিঙ্গা কমিউনিটিতে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ জানান, ‘আমাদের সমস্যা সমাধানে বিশ্বনেতৃত্বের ভূমিকা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য ছাড়া মিয়ানমার ফিরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব ও নিরাপদ নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান বিশ্বকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে এনে দাঁড় করাবে ও সমস্যার সমাধানের পথ দেখাবে।’উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে ড. ইউনূস একটি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে জাতিসংঘকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ করতে এর সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘রাখাইন রাজ্য (মিয়ানমার) বা গাজায় যারা অব্যাহতভাবে নিপীড়ন, উৎখাত ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন, আমরা তাদের উপেক্ষা করতে পারি না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ তার অভিন্ন স্বার্থে আরও ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। একই সঙ্গে সবার জন্য মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এর আগে, প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জোরালো পদক্ষেপ নিতে কানাডাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ২০ নভেম্বর বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং প্রেসিডেন্টের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে প্রেসিডেন্ট এ আহ্বান জানান।

