ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কাঠফাটা রোদ আর তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষসহ সাধারণ মানুষের কাছে মৌসুমি ফল তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে। এ গরমে তৃষ্ণা ও শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে লোকজন তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন।
বিকেল-সন্ধা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনা, হবিগঞ্জ রোড, গুহ রোড, ভানুগাছ রোড, কালিঘাট রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায় তালের শাস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।তীব্র গরমে চাহিদার বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা দামও নিচ্ছে তুলনামূলক বেশি। আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালশাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। ফলে ভেজালমুক্ত তাল শাঁসের কদর বেশি। বড় তাল প্রতি বিচি শাঁস ২০ টাকা করে এবং ছোট তালের বিচির শাঁস ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোডে ভ্যান থেকে তালের শাঁস কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, তালের শাস একটি সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে তালের শাস খেতে ভালোই লাগে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শহরের ভানুগাছ রোডের রেলগেটের সামনে থেকে তালের শাঁস কিনেন মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, গরমে একটু প্রশান্তি পেতে তালের শাঁস কিনেছি। বাড়িতেও সবার জন্য নিয়ে যাচ্ছি। গরমে তালের শাঁস বেশ আরামদায়ক।
তাল বিক্রেতা দিলওয়ার হোসেন বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনি তাল ক্রয় করে গাছ থেকে পেড়ে এনে তাল শাস শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। জ্যৈষ্ঠের অর্ধেক পর্যন্ত চলবে তালশাঁস বিক্রি। প্রচণ্ড গরম থাকায় তালশাঁসের চাহিদা রয়েছে বেশি। তালেশাঁসের এক হাজার বিক্রি হচ্ছে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার দুইশত টাকা লাভ হয়ে থাকে। তাল বিক্রি করে তিনি কোনো রকম জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *