ডায়ালসিলেটে ডেস্ক :: দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা দাঙ্গা-সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইরিল রামাফোসা। গত শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘এটি পরিষ্কার যে, এসব অস্থিরতার ঘটনা ও লুটপাট প্ররোচিত ছিল। কিছু লোক এর পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেছে।’ সাম্প্রতিক সহিংসতায় দেশটির অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এথিকিউয়িনি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট রামাফোসা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাভোগ শুরুর জেরে সম্প্রতি ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। লুটপাট করা হয় অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বিক্ষোভ দমন ও লুটপাটকালে পদদলিত হয়ে সেখানে এ পর্যন্ত অন্তত ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দাঙ্গার পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে রামাফোসা সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা তাদের ভালো একটি সংখ্যা চিহ্নিত করেছি। আমরা আমাদের দেশে অরাজকতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে দেব না। আমরা তাদের ধরতে যাচ্ছি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা সন্দেহভাজন এক উস্কানিদাতাকে গ্রেফতার করেছে এবং আরও ১১ জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ কয়দিনে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে অন্তত ২ হাজার ২০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকান প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন, তার সরকার বিক্ষোভ-সহিংসতা প্রতিরোধে আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারত। এদিন কাওয়াজুলু-নাটাল এলাকায় বর্ণবাদী উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বাংলাদেশিরাও। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের শিকার হয়ে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে দুইশ’রও বেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের।
দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে দেশটির রাস্তায় ২০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন নামানো হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি
ডায়ালসিলেটে/এম/এ/

