দিরাই প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হুরামন্দিরা হাওরের ৪২ নম্বর পিআইসি বাঁধের সাতবিলা রেগুলেটর সংলগ্ন অংশ ভেঙে গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হাওরে পানি ঢোকা শুরু করে। এতে ৩০০ হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, দিরাইয়ে হুরামন্দিরা হাওরে ১০০০ হেক্টর জমি রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭০০ হেক্টরের বোরো ধান কেটেছেন কৃষক। সন্ধ্যায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ৩০০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, হাওরে জমির পরিমাণ আরও বেশি। কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। বাঁধ ভাঙার ফলে ৩০০ হেক্টরের বেশি জমি তলিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন তারা।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বললেন, দিরাইয়ে হুরামন্দিরা হাওরে ১০০০ হেক্টর জমি রয়েছে। রোববার পর্যন্ত হাওরের ৭০ ভাগ ধান কেটেছেন কৃষক।
এদিকে রবিবার বিকেল ৪টার দিকে তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরের ২৭ নং পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে বর্ধিত গুরমার হাওরে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই হাওরের প্রায় ৬০ হেক্টর ফসলি জমি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর আগে সকাল ৮টায় ওয়াচ টাওয়ার-সংলগ্ন বাঁধের ওপর দিয়েও গুরমা হাওরে পানি প্রবেশ শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গুয়ার হাওরের ২৭ নং পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসন কাজ করছিল কয়েক দিন ধরে। তবে টাওয়ার-সংলগ্ন হাওর সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় উপচে পানি ঢোকা অংশে বাঁধ নির্মাণে বিধিনিষেধ ছিল। তাই এই অংশে বাঁধ নির্মাণ করেনি প্রশাসন। তবে পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোববার সকাল থেকে ওয়াচ টাওয়ার-সংলগ্ন কান্ধা (প্রাকৃতিকভাবে থাকা উঁচু রাস্তা) দিয়ে বর্ধিত গুরমা হাওরে পানি ঢোকা শুরু হয়। এরপর বিকেল ৪টার সময় নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ২৭ নং ফসল রক্ষা বাঁধের মূল অংশ গাছসহ ভেঙে যায়।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সবকটি বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই আজ (রবিবার) রাতে ফসল রক্ষা বাঁধগুলোতে পাহারা দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *