স্টাফ রিপোটার॥ পূর্ণমিলনির অনুষ্ঠান আনন্দমঠ নিয়ে সর্বমহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আয়োজকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে নিয়ে অনেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করছেন। অনুষ্ঠান আয়োজকরা পূর্ণমিলনির নাম দেন আনন্দমঠ। আনন্দমঠ নাম নিয়ে প্রথমে সমালোচনা করে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন এতোসব সুন্দর নাম থাকতে কেনো এই সাম্প্রদায়িক নাম দিয়ে এমন বিরুপ প্রতিক্রিয়ার বা বির্তকের সৃষ্টি করে সুনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হলো। প্রাক্তন শিক্ষার্থীর ব্যানারে দু’চার জনের ব্যক্তি স্বার্থ বা আর্থিক ফায়াদা লুটতে কেনো বিতর্কিত নাম দিয়ে এমন আয়োজন এই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
স্থানীয় বাসিন্দা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন মৌলভীবাজার দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উচ্চমাত্রার অনিয়ন্ত্রিত সাউন্ডে আশপাশের বাসাবাড়ির মানুষের দূর্ভোগ ছিলো চরম। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো চরম বিশৃঙ্খলা। ওই দিন শিশু,বয়োবৃদ্ধ লোকজন ও অসুস্থ মানুষরা এই উচ্চমাত্রার শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন পহেলা এপ্রিল ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের পুনর্মিলনী উৎসবের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় বাদক দলের উচ্চ আওয়াজে এলাকায় তৈরী হয় চরম শব্দ দূষণ। ওই দিন অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আশপাশের বাসা বাড়ির মানুষ ঘরে থাকাই সীমাহীন কষ্টকর হয়ে পড়ে। শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ মানুষের অশান্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়াও এসএসসি টেষ্ট পরীক্ষার্থীসহ অন্যান্যদেরও পড়া লেখায় মারাত্নক ভাবে ব্যঘাত ঘটে। ওই এলাকার দূর্ভোগগ্রস্থ মানুষ সংবাদ কর্মীদেরে অভিযোগ করে বলেন ব্যান্ডের তালে তালে উন্মাদ আর উন্মাতাল নৃত্য কি একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজন হতে পারে। এটা কি রুচিতে পড়ে। ওই দিনই অনেক সংবাদ কর্মী দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের গেইট পর্যন্ত গিয়ে এই অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পান। কিন্তু ঘটনা আড়াল করতে তাদেরকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাঁধা সৃষ্টি করা হয় বলে একাধিক সংবাদ কর্মী অভিযোগ করেন।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ওই স্কুলটির অবস্থান। এর পাশেই রয়েছে জর্জ কোর্ট, চীপজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত, সরকারী কলেজ, মহিলা কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হোস্টোলসহ আবাসিক এলাকা। ওই দিন সকালে থেকেই রাস্তাঘাট বন্ধ করে যানজট সৃষ্টি আর শব্দ দূষণে দূর্ভোগ নিয়ে সচেতন নাগরীকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভেযোগ করে বলেন সকাল থেকে উচ্চ মাত্রায় সাউন্ড আর রাস্তা পারাপারে বিড়ম্বনায় অতিষ্ট। তারা বলছেন ওই অনুষ্ঠান অন্যত্র করলে তাদেরকে এমন দূর্ভোগে পড়তে হতনা। তাছাড়া মাইকের সাউন্ড নিয়ন্ত্রিত হলেও এমনটি হতনা। অভিযোগ উঠেছে অনুষ্ঠান মালায় আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশে ছিলো চরম কড়াকড়ি। এমনকি সকালে ও রাতে সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরাও প্রবেশ করতে গেলে তাদেরকেও করা হয় নাজেহাল। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় শুধু শব্দ দূষণ করেই শেষ নয়। আতংক সৃষ্টিকারী বর্ণিল আতশবাজিও ছিলো আরও বড় বিড়ম্বনা।
ওই স্কুলের অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলছেন এতো বড় অংকের টাকা চাঁদা নিয়ে আর কোম্পানির গুলোর স্পনসর পেয়ে যে নিন্মমানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলো তা কখনো ভাবতেও পারিনি। এটা রিতিমত বড় ধরনের প্রতারণা। কতটাকা উঠলো আর কি পরিমাণ খরচ হলো তা ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠান আয়োজকদের ডেকে ওই হিসাব নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হবে।
শহরের সচেতন নাগরিকরা বলছেন বিনোদনের নামে এমন মনগড়া আয়োজন যা সমাজের মানুষের সমস্যা সৃষ্টি করে আগামীতে এবিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা আরও সর্তকতা অবলম্বন করবেন এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *