ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ১৫ বছরে আপনারা যত অন্যায়, অপরাধ করেছেন সবকিছুর জবাব দিতে হবে। তারা (আওয়ামী লীগ) খালেদ জিয়া, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ২০টা করে মামলা দেয়। আমরা যদি ক্ষমতায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে থাকি, তা একটি ডিকশনারি সমান হয়ে যাবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অপরাধে মামলা হবে। দেশের ১৭ কোটি মানুষ এরই মধ্যে রায় দিয়েছে, তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত নয়। আমরা তোমাদের ভোট দিইনি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘অরক্ষিত সীমান্ত, ধর্ষিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমেরিকা বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারাও বলেছে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, কিন্তু টাকা পায় বলেই শুধু সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে। তার মানে এ না যে এটা স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপের কোনো দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন, ইংল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করেন তাদের ফেরত নিয়ে যান। অথচ এ চিঠির খবর কোথাও ছাপানো হয়নি।
চলমান মিয়ানমার সমস্যা কোনো মূর্খ নেতার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয় মনে করে তিনি বলেন, মিয়ানমার সমস্যা খুব জটিল সমস্যা। কোনো মূর্খ নেতার পক্ষে সেটা সমাধান করা সম্ভব বলে আমাদের মনে হয় না। যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করেছে তখন শেখ হাসিনার ছোট বোন তাকে বলেছিলেন, তুমি ১৭ কোটি লোককে খাওয়াতে পারো, আর ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না? এরকম অর্বাচীনতা (অপরিপক্ব) বিশ্বের কোনো রাজনীতির মধ্যে নেই। এখন সেই মিয়ানমারের লোকজনই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছে যারা আন্দোলন করার চেষ্টা করবে তাদের খেসারত দিতে হবে। আমি জানতে চাই, সেই খেসারতটা কি? নির্দোষ একজন নারীকে (খালেদা জিয়া) ১০ বছর ধরে বন্দি করে রাখা?। আপনারা মানুষের সংজ্ঞায় পড়েন কি না, তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো একভাবে বাংলাদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত যে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিল। কোনো একভাবে বলার কারণ হলো- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় লোকজন কোনো আন্দোলন করেন নি। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন সোচ্চার হয়ে উঠেছিল, সেসময় তার নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ।,
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

