সিলেট নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির পাশে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান মিলিছে। বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এডিসের লার্ভার সন্ধান মিলে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অভিযানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়ির আশপাশ অপরিচ্ছন্ন রাখায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেে আদালত।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম ও সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট ত্বথ্যবিদ মো. নজরুল ইসলাম।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, অভিযানে নগরের দক্ষিণ সুরমা ভার্থখলা এলাকার কয়েছ এন্ড ব্রাদার্স, ধর স্যানেটারী, নাজমুল এন্ড ব্রাদার্স, মেসার্স খালেদ এন্ড ব্রাদাস ও একটি বাড়িতে এডিশ মশার লার্ভার উৎস পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আবর্জনা ও পানি জমিয়ে রাখার কারণে তাদের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এডিশ মশা জমে থাকা পরিস্কার পানিতে জন্মায় জানিয়ে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, বাড়ির খোলায় জায়গা, নারকেলের খোসা, ফুলের টব, বাসার ছাদ, পরিত্যক্ত ভবন কিংবা নির্মানাধীন ভবনে যেনো পানি জমে না থাকে সেব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানে কারো বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে সাথেসাথে আইনুনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এডিশ মশার উৎস অনুসন্ধান ও এডিশ মশার বংশবৃদ্ধি রোধ কল্পে সিসিকের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। জমে থাকা পরিস্কার পানিতে এডিশ মশা সহজেই বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ রোগে ছড়িয়ে পড়তে পারে নগরীতে। এজন্য সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

