ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::  টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তালাকের এক মাস পর সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন সাবেক স্বামী।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে নাগরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মো. কালাম ভূঁইয়ার ছেলে মো. ওয়াসিম ভূঁইয়া।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৪ সালের ৯ অক্টোবর সলিমাবাদ গ্রামের মৃত ফজল শেখের মেয়ে ফারজানা শেখ মিনালীকে বিয়ে করি। দাম্পত্য জীবনে আমাদের ৪ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সাংসারিক জীবনে মনের অমিল ও বনিবনা না হওয়ায় গত মে মাসে তালাক দিয়ে ফারজানা শেখ মিনালীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করি। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তার সব জিনিসপত্র বুঝে নিয়ে আমার বাড়ি থেকে চলে যায়।

 

তিনি বলেন, তালাকের এক মাস পরে তার সাবেক স্ত্রী ২১ সালের ৫ জুন নাগরপুর থানায় আমার বোন ও আমাকেসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মিথ্যা মামলা করে। অবশেষে ২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আমার বোনসহ ২ জন জামিন লাভ করি। এতে আমার সাবেক স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের জামিন বাতিলের জন্য নাগরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা নিরাপত্তা চাই। মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চাই।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল পাশা, মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, মো. গোলাম সরোয়ার, মো. মহারাজ, মোছা. নিপা আক্তার, মো. লাইছার , তামিম দেওয়ান, মো. মমিনুল ইসলাম, মোছা. মনোয়ারা বেগম ও হামিদা বেগম।

 

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ফারজানা শেখ মিনালী মোবাইলে বলেন, আমি তালাকের আগেই যৌতুকের জন্য মামলা করেছিলাম। সেই মামলা আছে। তবে জামিনের পর তা বাতিলের জন্য ডায়েরি করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *