ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: পুলিশি বাধায় বিশ্ব নারী দিবসের র‌্যালি করতে পারেনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এরপর র‌্যালি বের করলে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান। পরে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে। একপর্যায় মহিলা দলের নারী কর্মীরা ৪-৬ মিনিট শ্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে চলে যান।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আজকে একটা নারী দিবস, সেখানে পুলিশ নারীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে দিলো না। দেশের নারী সমাজ কেমন আছে এটাই তার প্রমাণ। আজকে আমাদের শান্তিপূর্ণ র‌্যালি পণ্ড করে দেওয়ার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

পুলিশের নারী শাখার এডিসি ফারজানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, যেটা পারমিশন ছিল, উনার সমাবেশ করেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে আমরা বাধা দেয়নি। যতটুকু পারমিশন ছিল আমরা করতে দিয়েছি।

 

র‌্যালি কেন করতে দিলেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনারদের বক্তব্য দেওয়ার পারমিশন ছিল বক্তব্য দিয়েছেন। আজকে জুম্মার সময় গাড়ি চলাচল করছে। র‌্যালি করতে দিলে যানবাহন চলাচলের সমস্যা হবে। সেজন্য আমরা সেটা করতে দেইনি। যতটুকু পারমিশন ছিল ততটুকু করতে দিয়েছি।

 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজ দেশের নারীরা অবহেলিত, নির্যাতিত। আজকে তাদের দুরবস্থার কথা বলতে হয়। বাংলাদেশ একটা ধর্ষণের দেশে পরিণত হয়েছে। এমন কোনো দিন নাই, এমন কোনো মাস নাই, এমন কোনো সপ্তাহ নাই যেখানে নারীদের ওপর নির্যাতন চলছে না, ধর্ষণ চলছে না।

 

তিনি আরও বলেন, তার চেয়ে বড় দুঃখের ও কষ্টের বিষয় হচ্ছে, এই ধর্ষণের ব্যাপারে কোনো বিচারের প্রয়োগ আমরা দেখতে পারছি না। কারণ এর সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের অনেকে জড়িত, তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা জড়িত।

 

নারী সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ যদি আমরা নারীদের ক্ষমতায়ন করতে চাই, প্রথমে নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। দেশের নাগরিকরা যদি অধিকারহীন হয়ে যায়, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে নারীদের ক্ষমতায়নের সুযোগ থাকবে না, কারো ক্ষমতায়নের সুযোগ থাকবে না।

 

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা চাই, নারী সমাজ মিলে যেন দেশটা, সমাজটাকে বদলে দিতে পারি। যে সমাজে আমরা রুখে দাঁড়াতে পারবো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবো। মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো এবং নারীদের পক্ষে দাঁড়াতে পারবো সেই সমাজ চাই আমরা।

 

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের এরকম দাম অতীতে কখনো ছিল না। খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল, স্থিতিশীল ছিল।

 

বিশ্ব নারী দিবসে মহিলা দলের র‌্যালির অনুষ্ঠানে পুলিশের উপস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে বিশ্ব নারী দিবসে আমরা নারীরা এখানে যতজন উপস্থিত হয়েছি, তার চেয়ে দেখুন কত বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখান থেকে নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত। কতখানি ভয় পায় ওরা। আমরা যদি পাঁচজন নারী থাকতাম সেখানে ৫০০ পুলিশ মোতায়েন থাকতো। এখানেই আমাদের বিজয়।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *