ডায়াল সিলেট ডেস্কঃ-

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় নাগরিকদের গুলিতে সীমান্ত এলাকায় নিহত অন্তত ২২ জন বাংলাদেশি। অর্থাৎ, মাসে গড়ে তিনজনের বেশি—প্রতি ১০ দিনে অন্তত একজন খুন হচ্ছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩২ জন এবং অপহরণ হয়েছেন অন্তত ১২ জন।

মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যানের তথ্্যমতে , গত পাঁচ বছরে বিএসএফের গুলিতে ও শারীরিক নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৫৮ জন বাংলাদেশি। আহত হয়েছেন ১২৭ জন, আর অপহরণের শিকার হয়েছেন ৪৮ জন।

চলতি বছরের  সিলেট বিভাগেই প্রাণ হারিয়েছেন চারজন।  সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের চিনাকান্দি সীমান্তে গুলিতে নিহত হন সাইদুল ইসলাম গত ৮ জানুয়ারি । স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভারতের ভেতরে সুপারি নিয়ে যাওয়ার সময়  বিএসএফের কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে গুলিতে প্রাণ হারান।

৬ মার্চ সিলেটের কানাইঘাটের বড়ছড়া সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত হন শাহেদ আহমদ নাশে একজন । পতাকা বৈঠক করে তার লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

৩১ মে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দত্তগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন প্রদীপ বৈদ্য। ভারতের কৈলাশহরে নেওয়ার পর তার মরদেহ দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ ১২ জুলাই সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের ভাঙ্গাপাড়া সীমান্তে গরু আনার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন শফিকুল ইসলাম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে কেবল প্রতিবাদ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন কার্যকর কূটনৈতিক চাপ এবং সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার। তাদের মতে, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন প্রতিবাদে নীরব থাকায় বিএসএফ এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি বন্ধে সীমান্ত এলাকায় আরও টহল বৃদ্ধি করতে হবে এবং স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।

সচেতন মহল বলছে, সীমান্তে বাংলাদেশ যদি দৃঢ় অবস্থান নেয় এবং প্রতিবাদ জোরালো করে, তবে হত্যাকাণ্ড অনেকাংশে কমে আসবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবিকে আরও তৎপর হতে হবে, যাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ বাণিজ্য ও অনিয়ম প্রতিহত করা যায়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *