আন্তর্তিক ডেস্ক::পাকিস্তানের পেশোয়ারে নামাজের সময় এক বিস্ফোরণে ১০০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি। সোমবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে যখন জোহরের নামাজ চলছিল, তখন ওই বিস্ফোরণ হয়। এসময় মসজিদটি কানায় কানায় ভর্তি ছিল। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে বিবিসি জানিয়েছিল, বিস্ফোরণের মাত্রা এত ভয়াবহ ছিল যে, মসজিদটির একাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক মুসল্লি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। তবে এখনো কোনো জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে পাকিস্তানি তালেবানকে সন্দেহ করা হচ্ছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, এইহামলাকারী সামনের কাতারে বসে নিজের শরীরে বাঁধা বোমা ফাটিয়ে দেয়। এদিকে পাকিস্তানের সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামলার টার্গেট ছিল সম্ভবত পুলিশ। কারণ নিহতদের সিংহভাগই ছিল পুলিশ সদস্য। পেশোয়ার নগর পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইজাজ খান স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন বিস্ফোরণের সময় ঐ এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। পেশোয়ারের লেডি রেডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম বলেন, আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন- এই হামলার পেছনের লোকদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাসের এই হুমকি মোকাবিলায় জাতি ঐক্যবদ্ধ। ঘটনার পর দ্রুত পেশোয়ার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শরীফ। এ ছাড়া আরও হামলার আশঙ্কায় রাজধানী ইসলামাবাদে পুলিশ উচ্চ-সতর্কাবস্থা জারি করেছে। রাজধানীতে ঢোকার এবং বেরুনোর সব পথে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *