ডায়াল সিলেট ডেস্ক ॥ মৌলভীবাজারে পাঁচ মাস ধরে বৃষ্টিপাত নেই। নীদ-নালা ও হাওর শুকিয়ে গেছে, কোথাও নেই পানি। গত বুধবার (১৫ মার্চ) সামান্য বৃষ্টি হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে পানির অভাবে বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে আছে। পুড়ে যাচ্ছে ধানের পাতা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

কৃষকরা বলেছেন, বৃষ্টি না হওয়ায় নদী-খালের পানি দিয়ে ধান চাষ করেছিলেন তারা। এখন সেচ দেওয়ার মতো আর কোথাও পানি নেই। পানির অভাবে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিস বলছে, বৃষ্টিই একমাত্র ভরসা।হাকালুকি হাওরে গিয়ে কথা হয় সাইফুল নামের এক কৃষকের সঙ্গে। তিনি বলেন, কার্তিক মাস থেকে বৃষ্টির দেখা নেই। এজন্য হাওরের খাল-বিল-নালা সব শুকিয়ে গেছে। ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়ার কোনো উপায় নেই। বুধবার খুবই সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। যা ফসলের জন্য কিছুই না।

কৃষক তাজউদ্দিন বলেন, আমরা নদী ও খালের পানি দিয়ে ক্ষেত করি। এবার নদী ও খালের পানি শুকিয়ে গেছে। ধানে শীষ আসার সময় জমি ফেটে চৌচির। এখন কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।

কৃষক ফটিক মিয়া পানির ব্যবস্থা চেয়ে বলেন, পানির কারণে এবার বোরো ধান ঘরে উঠবে না বলে মনে হচ্ছে।

জালালপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় পানি নাই। এখন পানির অভাবে ধানের পাতা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। ধান গাছের শীষ বের হচ্ছে না। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন বলেন, ওই এলাকার কৃষকরা ডোবা ও নালার পানি সেচ দিয়ে বোরো চাষ করেন। আবার ওই নালা ও ডোবার সঙ্গে পানাই নদীর লিংক আছে। এখন নদীর পানি নিচে চলে যাওয়ায় কৃত্রিমভাবে সেচের কোনো ব্যবস্থা নেই।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি না হওয়াটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। বুধবার সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। আশা করি দ্রুত পর্যাপ্ত বৃষ্টি হবে। ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। ধানের পাতা মরা বন্ধ হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *